‘সব কা বিকাশ’ নয়, কেন্দ্রে আসীন এনডিএ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হল ‘সব কা বিনাশ’। বুধবার ধর্মতলার জনসভায় এ ভাবেই কেন্দ্রকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেত্রী এ দিন কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশে ওভুয়ো ভিডিয়ো ক্লিপিংস ছড়ানোর অভিযোগও করেছেন। এর জেরে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘ভুয়ো ভিডিও দেখে উত্তেজনা ছড়াবেন না। গণতান্ত্রিক পথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গড়ে তুলুন।’
নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আধার নয়, প্রয়োজন এনআরসির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই ব্যাখ্যাকে আক্রমণ করে এ দিন তোপ দাগেন মমতা, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের দলকে সামলান, নিয়ন্ত্রণে রাখুন। দেশের শান্তিরক্ষা আপনার কাজ। সব কা বিকাশের জায়গায় হচ্ছে সব কা বিনাশ।’
পূর্ব পরিকল্পনা মেনেই এ দিন সকালে হাওড়া থেকে মমতার নেতৃত্বে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক ও সমর্থকদের নিয়ে রবীন্দ্র সেতু পেরিয়ে ক্রমে মিছিল এসে পৌঁছয় ডোরিনা ক্রসিংয়ে।
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতার তোপ, ‘বাংলার রেলস্টেশন কেন দেখবে বিজেপির প্রতিনিধিদল? স্টেশন দেখতে হলে দিল্লি যান’
সম্প্রতি বিতর্কিত আইনের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের জেরে একাধিক হিংসার ঘটনা সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। বিশেষ করে বিক্ষোভকারীদের নিশানায় পড়েছে ভারতীয় রেল। মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, নদিয়া থেকে রেল অবরোধ এবং রেলের সম্পত্তি নষ্ট করার খবর পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীদের অবরোধের জেরে ব্যাহত হয়েছে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ, দুর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ‘রেলের সম্পত্তি ধ্বংস করার চেষ্টা যারা করছে, তাদের দেখামাত্র গুলি করা উচিত। এবার রেলস্টেশন-সহ সব জায়গায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা হবে।’
সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে এ দিন মমতা পালটা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বাংলার রেলস্টেশন কেন দেখবে বিজেপির প্রতিনিধিদল? স্টেশন দেখতে হলে দিল্লি যান।’
বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে ও শুক্রবার পার্কসার্কাসে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।