পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক রদবদল শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে। সেখানে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তা নিয়ে সাংগঠনিক জেলা থেকে নানা অভিযোগ ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে। বহু জায়গায় ব্লক সভাপতি পছন্দ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথস্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জেলার ব্লক, টাউন সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করছে জোড়াফুল শিবির। তবে কয়েকটি জায়গায় মতবিরোধ সামনে এসেছে। আর তার সমাধানে কমিটি গঠন করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা থেকে তিনি বলেন, ‘দু–একটি জায়গায় মতবিরোধ হয়েছে। আমরা বসে আলোচনা করে তার সমাধান করে নেব। জেলাকে শক্তিশালী করতে হবে। কাউন্সিলরদের নামে জলা জমি ভরাটের অভিযোগ এসেছে। সকলকে বলব, দলের জন্য কাজ করুন, নিজের জন্য নয়। যদি কেউ না শোনেন, তাহলে দেখবেন, একদিন সকালে আপনার নামটা তৃণমূল থেকে বাদ পড়েছে।’
কারা থাকবেন এই কমিটিতে? জেলা থেকে আসা অভিযোগগুলির সমাধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের নামেও অভিযোগ এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তারপরই এই কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীদিন ভোটার লিস্টের কাজ এবং সরকারের প্রচার ভাল করে করার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
কোথায় ঠিক সমস্যা দেখা দিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, অন্যান্য জেলায় সমস্যা খুবই সামান্য। তবে ঝাড়গ্রাম এবং দুই মেদিনীপুর জেলায় সমস্যা প্রচণ্ড বেশি। তাই শীর্ষ নেতৃত্বকে জেলায় ঘুরে সবার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী কিছুদিনের মধ্যেই তমলুকে গিয়ে প্রশাসনিক এবং দলীয় বৈঠক করবেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রিভেন্স সেল দলের নেতা–কর্মীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।