দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্য সোমবারই বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরও তাঁর সমালোচনা করতে ছাড়লেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাতে টুইটারে ‘বিলম্বিত সিদ্ধান্ত’-এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন তিনি। সঙ্গে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও।
এদিন টুইটারে মমতা লেখেন, ‘রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক চিঠি লিখেছি। চার মাস ধরে চাপ দেওয়ার পর শেষে তিনি আমাদের কথা শুনলেন। মহামারিকালের শুরু থেকে দেশের মানুষের কল্যাণ প্রাধাণ্য পাওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রধানমন্ত্রীর এই বিলম্বিত সিদ্ধান্ত অনেকের প্রাণ কাড়ল। আশা করি এর পর প্রচার ভুলে অনেক সুপরিকল্পতিভাবে টিকারণ চালানো হবে।’
বলে রাখি, সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৮ বছরের উর্ধ্বে সমস্ত নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেবে সরকার। সেজন্য উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে সরাসরি ৭৫ শতাংশ টিকা কিনে নেবে সরকার নিজে। বাকি ২৫ শতাংশ টিকা কিনবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। সমস্ত রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকা বিলি করবে কেন্দ্র। বেসরকারি হাসপাতালগুলি যে দামে টিকা কিনবে তার ওপর সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে।
বিধাননসভা নির্বাচনের ভোটপ্রচারের সময় টিকাকরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বারবার আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি জানিয়েছিলেন, রাজ্যগুলিকে টিকা কেনার অধিকার দিক কেন্দ্র। এমনকী তাঁর সরকার ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে রাজ্যে ভোটগ্রহণ চলাকালীন রাজ্যগুলিকে টিকা কেনার অনুমতি দেয় কেন্দ্র।
গত ২ মে ক্ষমতায় ফিরেই বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে টিকা কেনার উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু কোনও জায়গা থেকে তেমন সাড়া মেলেনি। গত সপ্তাহে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘টিকা কেনা আমাদের কাজ নয়। রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে টিকা দিক কেন্দ্র।’ এর পরই সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক দেশবাসীর জন্য বিনামূল্যে টিকা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।