বিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে তৎপরতার জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এবার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যেন প্রত্যেকে মনে রাখি আমাদের একটা সীমারেখা আছে। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ‘চালায়’ উচ্চশিক্ষা দফতর।
এদিন মমতা রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘রাজ্যপালকে যখন আচার্য করে রাখা হয়েছিল তখন এরাজ্যে মাত্র ১০ – ১২টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আচার্যের চেয়ারটা সম্মানের। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চালায় উচ্চশিক্ষা দফতর। আমরাও কখনও তাতে নাক গলাই না। কিন্তু একথা আমিও বলতে পারি না, যে আমার কথা না শুনলে অ্যাকশন নেব। আমরা যেন প্রত্যেকে মনে রাখি আমাদের একটা সীমারেখা আছে’।
মমতার দাবি, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে চলার পক্ষে। আমার মনে হয় রাজ্যপালকে কেউ হয়তো ভুল বোঝাচ্ছে’।
জবাবে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর মর্যাদার সীমারেখা যেমন মেনে চলছেন, মুখ্যমন্ত্রীরও সেই সীমারেখা মেনে চলা উচিত। এটাই মানুষ মনে করছে। এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কার্যকলাপ ভারতীয় সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কেন্দ্র – রাজ্য সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে প্রশাসন চালানোর কোনও ইচ্ছা তাদের নেই। তারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র ভাবতে শুরু করেছে। ওরা সমস্ত সাংবিধানিক রীতি নীতি প্রথা ভেঙে দিতে চাইছে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে পুনরুজ্জীবনে রাজ্যপালের তৎপরতায় তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে’।
সম্প্রতি রাজ্যের একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচের হিসাব চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। এতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চক্ষুশূল হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।