মিটিংয়ের লাইভ স্ট্রিমিং করার অনুরোধ করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু তাতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্ট থেকে লাইভ স্ট্রিমিং হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একাধিক প্রশাসনিক বৈঠক থেকে লাইভ স্ট্রিমিং হতে পারে। আর জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মিটিংয়ের লাইভ স্ট্রিমিং( সরাসরি সম্প্রচার) করলে আপত্তিটা কোথায়? নিশ্চয় ভয় পাচ্ছেন, দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের।
আর বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী এই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের প্রসঙ্গ নিজেই তুলেছেন নবান্ন থেকে।
লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে কী বললেন মমতা?
মমতা বলেন, ওরা বিচার চায় না চেয়ার চায়…. কেস চলছে, ডাইরেক্ট সুপ্রিম কোর্ট যেটা করতে পারে, সেটা আমরা করতে পারি না। সাবজুডিশ ব্যাপার …তিনটি ভিডিয়ো ক্যামেরা রেখেছিলাম।
তিনি বলেন, টেলিকাস্টের ব্যাপারে ওপেন মাইন্ডেড আমরা। কিন্তু বিচারাধীন বিষয়ে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের মামলা নিয়ে যদি আমরা হঠাৎ করে টেলিকাস্ট করি, কেউ যদি হঠাৎ কোনও মন্তব্য করেন যা আগে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তাহলে আমার কি দায়বদ্ধতা থাকবে না? আমাদের অফিসারদের কি দায়বদ্ধতা থাকবে না? আমরা এমন কিছু করতে চাইনি যাতে অচলাবস্থা দূর না হয়।
মমতা বলেন, আমরা স্বচ্ছতার জন্য ভিডিয়োগ্রাফির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা বিচারাধীন মামলা নিয়ে আলোচনার লাইভ টেলিকাস্ট করতে পারি না। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে আমরা লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারি না। আমরাও চাই নির্যাতিতা বিচার পাক।কিন্তু মামলা আমাদের হাতে নেই। আমরা ডাক্তারদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি নিয়ে আলোচনায় রাজি ছিলাম। বিচারাধীন মামলার কারণেই লাইভ সম্প্রচারে সমস্যা আছে। দুঘণ্টা অপেক্ষার পরে ডাক্তাররা আসেননি। তার পরেও আমরা কোনও পদক্ষেপ করব না। ওরা ছোট, তাই ক্ষমা করে দেব। আমি তিনবার চেষ্টা করলাম।
মমতা বলেন, চিঠিতেও লিখেছিলাম লাইভ সম্প্রচার করতে পারব না। রেকর্ড করা যাবে। খোলা মন নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম।
জুনিয়র ডাক্তারদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক বলে উল্লেখ করেছেন মমতা।
লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে কী বললেন জুনিয়র ডাক্তাররা?
আর চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্য়ায় বলছেন, মুখ্য়মন্ত্রীর ডাকে নবান্নে এসেছিলাম। ফোনগুলি জমা রাখছিলাম। তখন পদস্থ আধিকারিকদের প্রশ্ন করি লাইভ স্ট্রিমিং কি করা হবে? তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।…আমরা কেউ ইগো নিয়ে লড়াই করছি না। আমরা অভয়ার বিচার চাই। শর্ত, ইগো এই সব শব্দ নিয়ে তীব্র আপত্তি আছে। এর মধ্যে কোনও ইগো নেই। অহঙ্কার নেই আমাদের। কোনও চেয়ার উল্টে দিতে আমরা আসিনি। স্বচ্ছতার জন্য লাইভ স্ট্রিমিং চেয়েছিলাম। এটা কি ইগোর দাবি বলে মনে হচ্ছে? সুপ্রিম কোর্টে যদি লাইভ হিয়ারিং হতে পারে, তাঁর অফিসাররাও বার বার মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন, তখন মনে হচ্ছে না এটা সাবজুডিশ। আমরা সাব জুডিশ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি।
তবে এখনও অপেক্ষা করতে রাজি জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা বলেন, ৩৫-৩৬ দিন…. পর্যন্তও অপেক্ষা করব।