শুধুমাত্র বই পড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে বিচার করা যাবে না। তাঁকে মন দিয়ে অনুভব করতে হবে। তবে নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য তাঁর লেখা দুটি বইকে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের ‘হিজ কল টু দা নেশন’ বইটিও পাঠ্যক্রমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ে যান মমতা। নেতাজির মূর্তির পাদদেশে রাখা ছবিতে মাল্যদান করেন। তারপর বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে বেজে ওঠে সাইরেন। শঙ্খ বাজান মমতা। সেখান থেকে রেড রোডে নেতাজির মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, আমলারা।
পরে রেড রোডে ভাষণের সময় মমতা জানান, নেতাজি হলেন আবেগ। তাঁকে অনুভব করতে হয়। মমতা বলেন, 'নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর লেখা তরুণের স্বপ্ন, সবুজের অভিযান সবাই মন দিয়ে পড়বেন। যদি যুব প্রজন্ম না পড়ে থাকে, এটাকে পড়বে। আর আমি আমাদের শিক্ষা দফতরকেও এই বইদুটি বাধ্যতামূলক করার জন্য বলব।' একইসঙ্গে স্বামীজির 'হিজ কল টু দা নেশন' বইটিও পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন মমতা। কবে কোন স্তরে সেই বই তিনটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।
সেই মঞ্চ থেকেই অবশ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মমতা। জানান, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর যোজনা কমিশন তুলে দেওয়া হয়েছে। তৈরি করা হল নীতি আয়োগ। সেটা থাকতেই পারত। কিন্তু যোজনা কমিশন থাকতে পারত। যোজনা কমিশন ফিরিয়ে দিতে হবে। এটা নেতাজির রক্তগাঁথা এবং বীরগাঁথায় তৈরি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করার দাবি তোলেন। নেতাজির অন্তর্ধানের রহস্য প্রকাশ করার পক্ষেও সওয়াল করেন।