তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলেই বাজিমাত করতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কালীঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। এর আগে এক বৈঠকে তৃণমূলের সব পদ মুছে দিয়েছিলেন মমতা। আর এদিনের বৈঠকে নতুন করে সংগঠনকে ঢেলে সাজালেন তিনি। দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতাদের নিয়োগ করলেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদও ‘ফিরে পেলেন’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরই মাঝে এদিন বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে প্রয়োজন রয়েছে দলের। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে ওল্ড ইজ গোল্ড। নবীন-প্রবীণদের একসঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।’
এদিন বৈঠকে মমতা আরও জানান, তৃণমূল কংগ্রেস দীন-দরিদ্রদের দল। তাই এই দলে থেকে ভৈববের প্রদর্শন কাম্য নয়। এর আগে গত সপ্তাহে এক বৈঠক করে জাতীয় কর্মসমিতি গঠন করে সর্বভারতীয় স্তরে দলের সব পদ খালি করে দিয়েছিলেন মমতা। আইপ্যাক নিয়ে অস্বস্তির মাঝে অভিষেকের সঙ্গে দলের প্রবীণদের মনোমালিন্য দেখা দিয়েছিল বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে দলের অস্বস্তি কমাতে ও ফাটল বুজিয়ে দিতে নিজে ময়দানে নেমেছিলেন মমতা। সেই ফাটল আপাতত মেরামত করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে শুক্রবার বৈঠক করে দলের শূন্যপদে নতুন করে নিয়োগ করলেন মমতা।
এদিকে অভিষেক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে দিতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে সেরম কিছু হওয়ার সুযোগ মমতা দেননি। তার আগেই সব পদ খালি করেছিলেন তিনি। আর এদিন নতুন করে অভিষেককেই সেই পদে বসান মমতা। অভিষের একাই এই দায়িত্ব সামলাবেন আগের মতো। তবে এবার জাতীয় কর্মসমিতির সঙ্গে মমতার সমন্বয় রক্ষার ভার দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের উপর। পাশাপাশি এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও অরূপ বিশ্বাসের গুরুত্ব বাড়ল। চন্দ্রিমা হলেন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি। আর অরূপ হন দলের কোষাধক্ষ্য। এদিন নবীনদের মমতা বার্তা দেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রচার না করে দলের হয়ে প্রচার করতে হবে।’ পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তি নিয়ে কোনও আপোস করা হবে না হলেও জানান মমতা।