বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গী শাঁওলি মিত্রকে হারিয়ে শোকাভিভূত মমতা

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গী শাঁওলি মিত্রকে হারিয়ে শোকাভিভূত মমতা

রবিবার দুপুরে বেহালার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময় তিনি আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন।' মমতা আরও লেখেন, 'কাছের মানুষ হিসাবে আমি তাঁকে মনে ধরে রাখলাম।’

সিঙ্গুর- নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন। এহেন শাঁওলি মিত্রের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশিষ্ট নাট্যকর্মীর প্রয়াণে এক চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময় তিনি আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন। শাঁওলিদির ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর প্রয়াণের খবর আমাকে শেষকৃত্যের পর দেওয়া হয়। কাছের মানুষ হিসাবে আমি তাঁকে মনে ধরে রাখলাম।’

উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে বেহালার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। নাট্য কিংবদন্তি শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যার দেহ সৎকার শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত মৃত্যু সংবাদ কাউকে জানানো হয়নি। সিরিটি মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁর মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ২০০৩ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার এবং ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১২ সালে বঙ্গবিভূষণ ও ২০১৪ সালে দীনবন্ধু পুরস্কার দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি হয়েছিলেন তিনি।

শাঁওলি মিত্রের প্রয়াণে শোকবার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘প্রবাদপ্রতিম শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা শাঁওলি মিত্র বাংলা অভিনয় জগতে মহীরুহ ছিলেন। 'নাথবতী অনাথবৎ' বা 'কথা অমৃতসমান' এর মতো সৃষ্টিকর্ম বাংলার লোকমানসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শাঁওলি মিত্র আমার বহুদিনের সহযোগী ছিলেন। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তিনি আমার সঙ্গে একসঙ্গে ছিলেন।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘আমাদের বহুদিনের সহকর্মী এবং সুহৃদ হিসেবে তিনি আমাদের মনের মণিকোঠায় থেকে যাবেন। আমি শাঁওলিদির পরিবার- পরিজন ও অগণিত গুণগ্রাহীকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’

বন্ধ করুন