আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে তৃণমূলের ১৯ জন নেতার বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় ED-কে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার পর থেকেই বারবার উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নাম। এমনকী তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে আকারে ইঙ্গিতে হুমকি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। পালটা সরব হয়েছেন ববিও। এসবের মধ্যে সোমবার ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে ববির পাশে দাঁড়ালেন মমতা। বললেন, ‘কখনও যদি দেখেন ববির অত সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, বিশ্বাস করবেন না।’
এদিন মমতা তাঁর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করতে চেষ্টার কসুর করেননি। তিনি বলেন, ‘ওদের একটা কথাও আপনারা বিশ্বাস করবেন না। হঠাৎ যদি দেখেন ববির অত সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, ওকে অ্যারেস্ট করবে… বুঝবেন সব সাজানো।’ এমনকী প্রশ্ন তোলেন, ‘পার্থ চোর হলে আইনি বিচার হবে। কিন্তু কেষ্ট চোর, ববি চোর, অরূপ চোর, অভিষেক চোর, মমতা ব্যানার্জি চোর বলছে’।
বেইমান, গদ্দার, ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারী, ক্ষমতা থাকলে মামলা কর: অভিষেক
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অদূর ভবিষ্যতের পরিস্থিতি অনুামন করে আগে থেকেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন মমতা। গ্রেফতারি তো দূরে থাক, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় এখনও কোনও সমনই পাননি ফিরহাদ। তাঁর গ্রেফতারির প্রশ্ন উঠছে কী করে? আইনজ্ঞদের একাংশের মতে, এভাবে প্রকাশ্য সভায় নিজের ঘনিষ্ঠদের নাম করে আসলে তাদের বিপদ বাড়াচ্ছেন মমতা। এতে তাঁরা কখনও গ্রেফতার হলে প্রভাবশালী তত্বে জামিন পাওয়া মুশকিল হবে। ঠিক যেমনটা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে। প্রভাবশালী তত্ত্বে স্বীকৃতি দিয়েই তাঁর জামিনের আদালত খারিজ করেছে আদালত।