একুশের নির্বাচনের আগে অনেকেই পেয়েছিলেন ট্যাব। এই প্রকল্প জারি থাকবে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২০২০ সালে পড়ুয়ারা অনেকটা দেরি করে ট্যাবের টাকা পেয়েছিলেন। তার জেরে সমালোচনা হয়েছিল বিস্তর। তবে এবার আর দেরী হয়নি। বরং ট্যাব কেনার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা পড়তে শুরু করেছে। তাও আবার সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতেই বলে খবর।
করোনাভাইরাসের রক্তচক্ষুতে প্রায় দু’বছর ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। পঠনপাঠন চলছে অনলাইনে। কিন্তু অনেক পড়ুয়াই আছে যাদের কাছে স্মার্টফোন নেই। এই সমস্যার কথা জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, দ্বাদশ শ্রেণির সব ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হবে। ট্যাব কেনার টাকা প্রতি বছরেই পাবেন দ্বাদশের পড়ুয়ারা। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই আপ্লুত ছাত্রছাত্রীরা। রাতারাতি এই সমস্যার সমাধান হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ট্যাব কেনার টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। তাতে সমালোচনাও হয়েছিল ব্যাপক। প্রশ্ন ওঠে, এত দেরি করে ট্যাবের টাকা পেলে পরীক্ষার্থীরা কীভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি চালাবে? যদিও করোনাভাইরাস রাজ্যে বৃদ্ধি পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাই বাতিল হয়ে যায়।
নিয়ম হয়েছে, ট্যাব কেনার পরে তার রসিদ স্কুলে জমা দিতে হবে। প্রধান শিক্ষকরা সেই রসিদ পাঠিয়ে দেবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছে। কিছু কয়েকজন প্রধানশিক্ষক জানান, অনেকে রসিদ জমা দিতে চাইছে না। কারণ যদি ট্যাব খারাপ হয় তাহলে ওই রসিদ তো কাজে লাগবে। সেখানে ওয়ারেন্টি পিরিয়ড লেখা থাকে। তাই মূল রসিদ লাগে। এখন এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।