আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ৮২০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রাপ্য টাকার জন্য বিস্তর লড়াই করেছেন। এবার ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা রয়েছে। কেন্দ্র ৬০ শতাংশ তথা ৮২০০ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে রাজ্য সরকার। তাই কারা কারা বাড়ি তৈরির জন্য সরকারের থেকে টাকা পাবেন তার তালিকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তৈরি করে ফেলতে হবে। এই কাজ শেষ হলেই প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হবে।
কেন্দ্র কী শর্ত দিয়েছে? এই টাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াদিল্লি শর্ত হিসাবে জানিয়েছে, যাদের বাড়ি দেওয়া হবে তাদের তালিকা গ্রামসভায় অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। তবে তার আগে কারা এই বাড়ি তৈরির টাকা পাওয়ার যোগ্য নয় সেই তালিকা বিডিও’রা সমীক্ষা করে স্থির করবেন। সেইসব যোগ্যদের তালিকা তৈরি করে গ্রামসভায় পাশ করাতে হবে। কেন্দ্রের এই নির্দেশে অখুশি নয় নবান্ন বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নবান্নের এক অফিসার বলেন, ‘নয়াদিল্লির ধারণা গ্রামস্তরে মুখ দেখে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এটা যে অনেক রাজ্যে হয় না তা নয়। তবে বাংলায় এসব হয় না। তাই কেন্দ্রের এই নির্দেশ মানতে অসুবিধা নেই রাজ্যের।’ আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বিডিও’দের সমীক্ষা করে ফেলতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে একশো দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডাররা।
কাদের বেছে নেওয়া হবে? এখানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হবে যে কাদের প্রথম পর্যায়ের টাকা দেওয়া হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই অগ্রাধিকারের তালিকা তৈরি করতে হবে। এমনকী এই তালিকার মধ্যে কারা সংখ্যালঘু তা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রামসভায় সেই তালিকা অনুমোদন করতে হবে।