পশ্চিমবঙ্গে যে একাধিক ভুয়ো করোনা পরীক্ষার চক্র ধরা পড়েছে তা জানাই নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় তেমনটাই স্পষ্ট হল। পরে মুখ্যমন্ত্রীকে এব্যাপারে অবহিত করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। এর পর সাধারণ মানুষকে এব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও প্রতারকের হাত থেকে বাঁচার দায়িত্ব একপ্রকার জনগণের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
এদিন মমতা নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘দিল্লিতে যেমন ধরা পড়েছে, আমাদের দেখতে হবে এখানে যেন না হয়।‘ জবাবে মুখ্যসচিব বলেন,’এখানেও দু’একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।‘ প্রশ্ন হল, খাস কলকাতা শহরে গত ১ সপ্তাহে ভুয়ো করোনা পরীক্ষার ২টি চক্র ধরা পড়ল। তার মধ্যে একটির কুশীলব আবার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষাগারের ২ কর্মী। আর এত বড় খবর জানা নেই মুখ্যমন্ত্রীর!
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি উত্থাপন করার পর মুখ্যসচিব বলেন, নিজেদের নামি ল্যাবের এজেন্ট বলে দাবি করে এরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে। তার পর ‘ফর্জি’ রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। এর পরই মুখ্যসচিবকে পশ্চিমবঙ্গে ICMR অনুমোদিত পরীক্ষাগারের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব জানান, ইতিমধ্যে তা প্রকাশ করা হয়েছে।
রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওই তালিকা দেখে, সরকারি স্ট্যাম্প দেখে তারপর টেস্ট করতে দিন। তবে সরকারি স্ট্যাম্প আসল কি না তাও দেখে নিতে হবে।‘ প্রশ্ন হল, সবই যখন জনগণ দেখবে তাহলে সরকার কী করতে আছে?