লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর এটাই ছিল প্রথম চ্যালেঞ্জ। তাতে শুধু পাসমার্ক নয়, লেটার পেয়ে উতরে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের সব কৃতিত্ব সাধারণ মানুষকে দিলেন তিনি।
মমতা বলেন, "জয়ের কৃতিত্ব মানুষের। তাঁদের আশীর্বাদে সবুজ ঝড়। অবাঙালী, সংখ্যালঘু, আদিবাসী, রাজবংশী - সব ধর্মের, সব বর্ণের মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন।"
আরও পড়কালিয়াগঞ্জ-খড়্গপুরে জয়ী তৃণমূল, করিমপুরে প্রায় নিশ্চিত জয়
যে তিনটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র একটি আসন দখলে ছিল তৃণমূলের। লোকসভা ভোটেও দুটি আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি।ফলে যথেষ্ট চাপের মুখে ছিল তৃণমূল। সেখান থেকে বিধানসভা ভোটের আগে কোয়ার্টার-ফাইনালে অনেকটাই স্বস্তি পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিশেষত, চিরাচরিতভাবে কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর সদরে কখনওই দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। সেখান থেকে প্রথমবারের জন্য দুটি কেন্দ্রে জয়ে খুশি তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রশান্তির সুরে বলেন, খড়্গপুর ও কালিয়াগঞ্জে এই প্রথম জয় পেলাম।এটা বড় কৃতিত্ব ও সাফল্য।
লোকসভার রেশ ধরতে না পারার কারণ হিসেবে বিজেপি অহংকারকেই দায়ী করেন মমতা। তিনি বলেন,অহংকার ও ঔদ্ধ্যেতের ফল পাচ্ছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরকেতোপ দেগে তিনি বলেন, "রাজ্য বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে বাতিল করেছে।" মমতার দাবি, বিজেপিকে বিদায় দিতে চাইছেন মানুষ। তিনি বলেন,এই ফলে বলছে, মানুষ বলছেন, এক-দুই-তিন আমাদর শত্রু বিজেপিকে বিদায় দিন।
এছাড়াও, কংগ্রেস ও সিপিআইএমকেও একহাত নিয়েছেন মমতা। তাঁর দাবি, রাজ্যে বিজেপিকে বাড়তে সাহায্য করছে দুই দল। তিনি বলেন, "বিজেপির দরজায় গিয়ে কেন ভিক্ষে করে? নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারে তো! জাতীয় স্তরে কংগ্রেসকে সমর্থন করি। কিন্তু, রাজ্যে বিজেপিকে সাহায্য করছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম। দেখে খারাপ লাগে।"
ুন :