‘পশ্চিমবাংলায় যে হাহাকার, হিংসা, অত্যাচার, দুর্নীতি, তার মূলে হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এরকম ব্যক্তিত্বকে কেউ যদি বাংলার গর্ব বলে প্রোজেক্ট করে তাহলে বাংলার সংস্কৃতি, পরম্পরা, শিক্ষা সবাইকে অপমান করা হয়।‘ রবিবার তৃণমূলের ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিকে এভাবেই আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘টিএমসির কাছে মমতা ব্যানার্জি ছাড়া আছেটা কে? উনিই শুরু উনিই শেষ। তাই আর কতবার ওকে প্রোজেক্ট করবে? মানুষ তাঁকে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু রিজেক্ট করতে শুরু করেছে। মমতা একজন অসফল শাসক।‘
সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে দিলীপবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবাংলায় যে হাহাকার, হিংসা, অত্যাচার, দুর্নীতি, তার মূলে হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এরকম ব্যক্তিত্বকে কেউ যদি বাংলার গর্ব বলে প্রোজেক্ট করে তাহলে বাংলার সংস্কৃতি, পরম্পরা, শিক্ষা সবাইকে অপমান করা হয়।‘
বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির রূপরেখা বলতে গিয়ে দিলীপ জানান, ‘পশ্চিমবাংলা জুড়ে যে ধরণের গণতন্ত্র হত্যা, নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, পুলিশি অত্যাচার চলছে, তাতে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি পশ্চিমবাংলায় রাজনৈতিক লড়াই শুরু করেছে। তাতে আমরা ট্যাগলাইন রেখেছি ‘আর নয় অন্যায়’। যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রচার করব বাড়িবাড়ি গিয়ে।‘
বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, ‘আগামী ১৫ মার্চ থেকে সেকেন্ড ফেজে আমাদের ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন শুরু হচ্ছে। তাতে ২টি বিষয় থাকবে। একটি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট। অন্যটি সংকল্পপত্র। ১০টি বিষয়ে আমরা মানুষকে বুঝিয়ে বলব এই সরকার কতটা অসফল ও কেমন অব্যবস্থা তৈরি করেছে।‘
গত রবিবার কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানের সভা থেকে বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন দলের প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ। পুরভোটের মুখে এই কর্মসূচির মাধ্যমে দোরে দোরে জনসংযোগ গড়ে তুলতে চায় বিজেপি। শহরে ও গ্রামে একই সঙ্গে মজবুত করতে চায় সমর্থনের ভিত্তি।