সরকারি পরিষেবা সম্পর্কে মানুষকে অবগত করার জন্য এবং মানুষের কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ চালু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু হয়। প্রায় তিন বছরের মধ্যেই ব্যাপক সাফল্য পেল বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত এই সহায়তা কেন্দ্র প্রায় ১০ কোটিরও বেশি পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে। এত বড় সাফল্যের জন্য বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের টিম এবং রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আগামী দিনেও এই সহায়তা কেন্দ্র এইভাবেই মানুষের হয়ে কাজ করে যাবে। এই সাফল্য প্রমাণ করে যে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর।’ সাধারণত সরকারি সুবিধা পেতে গিয়ে মানুষকে বিভিন্ন সরকারি দফতরে ছোটাছুটি করতে হয়। এর ফলে হয়রানির শেষ থাকে না। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মানুষের কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছিল ২০২০ সালে। এই প্রকল্পের ফলে সরকারি সুবিধা পেতে গিয়ে মানুষের সমস্যা অনেকটাই কমেছে। সরকারি অফিস এবং দফতরগুলিতে ছোটাছুটি কমেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পের ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে সহজেই। তিন বছরে ১০ কোটিরও বেশি পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় এই প্রকল্পে সাফল্যই প্রমাণিত হচ্ছে। তাতে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর টুইটেও সেই আবেগ ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সব মিলিয়ে ৩৫৬১ বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা মানুষকে দেওয়া হয়। রাজ্যের ৪০ টি দফতরের ২৬০ ধরনের সরকারি পরিষেবা এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে পেয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। এরফলে সরকারি পরিষেবা পেতে গিয়ে মানুষের সমস্যা অনেকটাই কমেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup