বিপদে পড়ে এখন জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করার কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি অনুকূল হলেই তাদের গোপনে ট্রান্সফার করবেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘কোনও অফিশিয়াল অর্ডার বেরোবে না কিন্তু দেখবেন অন্য জায়গায় ট্রান্সফার হয়ে গেছে। চুপচাপ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন - মানুষের হাসপাতালে তৃণমূল নেতার কুকুরের চিকিৎসা! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
পড়তে থাকুন - 'এখনই প্রতিরোধ না হলে আরও অনেক তিলোত্তমাকে এভাবে চলে যেতে হতে পারে'
সুকান্তবাবু বলেন, ‘এইগুলো আইপ্যাকের লিখে দেওয়া বুলি। যারা মুখ্যমন্ত্রীকে চেনেন তাঁরা জানেন, দিদি বলে ফাঁসিয়ে নেবে তার পর দিদি মা গো…. দেখিয়ে ছাড়বে। যারা বুদ্ধিমান তারা ফাঁসবে না। পরবর্তী সময় সব ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। কোনও অফিশিয়াল অর্ডার বেরোবে না কিন্তু দেখবেন অন্য জায়গায় ট্রান্সফার হয়ে গেছে। চুপচাপ হয়ে যাবে।’
এমনকী জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে রোগীমৃত্যুর যে অভিযোগ রাজ্য সরকার তুলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘ডাক্তারদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে উনি ডাক্তারদের খুনি বলছন। বলছেন তোমাদের জন্য মারা গেছে। আর মারা যাওয়ার যে লিস্ট তা দেখে তো আমিই অবাক হয়ে গেছি। আমার জেলার ছেলের নাম সবার প্রথমে। অথচ আমার জেলায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই। ফলে জুনিয়র ডাক্তার থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’
আরও পড়ুন - খুনি ডাক্তারের শাস্তি চাই, সন্ধের পর পথে নেমে স্লোগান তুললেন কল্যাণ
শনিবার বেলা ১টা নাগাদ বিধাননগরে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন মঞ্চে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চিকিৎসকদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি। সঙ্গে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। দাবি করেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাদের কাউকে তিনি চেনেন না। বলেন, দোষীরা আমার বন্ধু নয়, শত্রুও নয়।