বিজেপিকে বাংলায় পর্যদুস্ত করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই জেলায় জেলায় হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। এমনকী বিজেপি নেতা–কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। অসৌজন্যের চরম নজির দেখিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অনুপস্থিত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে। রাজ্যে এসে আক্রান্ত সদস্যদের বাড়ি যেতে শুরু করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। কিন্তু এতকিছুর পরও ফের মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ তিনি ঘোষণা করেছেন, নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেখানে দল, বং, জাত, ধর্ম দেখা হবে না। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষতিপূরণ দিতে চলেছি যাঁরা নির্বাচনের পর হিংসার বলি হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে। দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর সেখানে কোনও দল, রং, জাত, ধর্ম দেখা হবে না। প্রত্যেক মৃত্যুই দুঃখজনক। ক্ষতিপূরণ দিয়ে সেই দুঃখ মেটানো যায় না। তবু আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মুখ্যমন্ত্রী যখন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন তার প্রশংসা করার পরিবর্তে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা পরিস্থিতি দেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট দেবেন। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে প্যাঁচ কষবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। কিন্তু আজকের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে মাস্টারস্ট্রোক। কারণ আগে কখনও এমন নজির দেখা যায়নি।
এই বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি নেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং উসকানি দিচ্ছেন। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে ২৪ ঘন্টা হয়নি। তার মধ্যে চিঠি পাঠাচ্ছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে, নেতারা আসছেন। আসলে তাঁরা মানুষের রায় মেনে নিতে রাজি নয়। আমি তাঁদের কাছে অনুরোধ করছি মানুষের রায় মেনে নিন।’