খুব কাছের মানুষকে হারালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মানিক মজুমদার। মানিকদা বলেই পরিচিত। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের চাবি থাকত তাঁর প্রিয় মানিকদার কাছেই। তাঁকে টপকে সে সময় মমতার সঙ্গে দেখা করা এক কথায় ছিল অসম্ভব। সেই মানুষটাই শনিবার সকালে ইহলোক ত্যাগ করলেন। মানিক মজুমদারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজ্যের শাসকদলেও। শোক জ্ঞাপনে দলীয় পতাকা শনিবার অর্ধনমিত থাকবে বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বয়সজনিত নানা ব্যধিতে ভুগছিলেন মানিক মজুমদার। সম্প্রতি তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। বেলেঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার পর এদিন তাঁর মৃত্যু হল। শোকগ্রস্ত মমতা এদিন টুইটে এ খবর জানিয়ে লিখেছেন, ‘চার দশকের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী মানিকদা হারিয়ে আমি অত্যন্ত ব্যাথিত। কালীঘাটে আমার অফিসে সর্বদা হাসিমুখে সসম্মানে কাজ করতেন তিনি। সেই মানুষটাকে আমরা সকলে খুব মিস করব।’
অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে থেকেই মমতার কালীঘাটের অফিসের দায়িত্বে ছিলেন মানিকদা। দল বা দলনেত্রীর কোনও গোপন। কথা কোনওদিনই সাংবাদিকদের ফাঁস করতেন না তিনি। অথচ সকলের সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার ছিল তাঁর। কালীঘাটে মমতার বাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও তাঁকে কখনও দেখা জায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ হওয়ার পরও কখনও কোনও পদের জন্য দাবি করেননি তাঁর প্রিয় মানিকদা।