নির্বাচনে পর থেকেই ইন্ডিয়া জোট ক্রমে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ছে। সংসদে বিজেপি বিরোধিতার ইস্যু নির্বাচনে এক সুর শোনা যাচ্ছে না বিরোধী জোটের দলগুলির গলায়। আবার সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনেও 'রেষারেষি' ধরা পড়েছে। এরই মাঝে এবার জোটসঙ্গীদের নিয়ে বিস্ফোরক দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, জোটসঙ্গীরা নাকি দেখতেই পারে না। তাঁর আরও দাবি, তিনি বাংলা থেকেই ইন্ডিয়া ব্লককে 'চালাতে পারেন'। (আরও পড়ুন: 'একমাস সময় চেয়েছিলাম...', জয়নগরের বিচারের পরে 'আরজি কর আক্ষেপ' মমতার গলায়)
আরও পড়ুন: ভারতকে 'অস্থিতিশীল করার' চেষ্টায় আছে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট: বিজেপি
আরও পড়ুন: ধার নিল, প্রাণও নিল! বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত প্রতিবেশী
বিরোধী জোট নিয়ে মমতা গতকাল বলেন, 'আমি তো ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স তৈরি করে দিয়েছিলাম।' কিন্তু জোটের এই ছন্নছাড়া ভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা অকপটে বলেন, 'তারা সবাইকে একজোট করে রাখতে পারছে না তো আমি কী করব? আমি তো সেই জোটের নেতৃত্বে নেই। যারা লিডার, তাদের এটা দেখা উচিত। তবে আমার সঙ্গে সমস্ত আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের যোগাযোগ রয়েছে। আমি সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলি।' (আরও পড়ুন: ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকের পরই চিন্ময় প্রভুর হয়ে সরব বাংলাদেশের ফাদার রোজারিও, বললেন…)
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু উপাচার্যের পদত্যাগ, বিপ্লবের নামে অত্যাচার?
এরপর মমতা আরও বলেন, 'যারে দেখতে নারি তার চলন ব্যাঁকা। আমাকে দেখতেই পারে না। তবে আমি দায়িত্ব পেলে এটুকু বলতে পারি... যদিও আমি তা চাই না। আমি বাংলার মাটি ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। এখানেই জন্মেছি, শেষ নিশ্বাস এখানেই ত্যাগ করব। কারণ বাংলাকে আমি এতটাই ভালোবাসি। কিন্তু এটুকু আমি মনে করি, এখানে বসেও আমি এটা চালিয়ে দিতে পারি।' (আরও পড়ুন: এমন সব ইস্যু… ভারতের চিন্তায় 'ঘুম উড়ল' বাংলাদেশের! স্মারকলিপি ভারতীয় হাইকমিশনে)
প্রঙ্গত, বিজেপিকে ঠেকাতে একই মঞ্চে হাত মিলিয়ে 'ইন্ডিয়া' ব্লক তৈরি করেছিল বিরোধী দলগুলি। তবে সাম্প্রতিককালে সেই জোটে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই আবহে তৃণমূলই যেন পথ দেখাচ্ছে। সেই মতো সম্প্রতি অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিকে কংগ্রেসের থেকে 'দূরত্ব' তৈরি করতে দেখা গিয়েছে। এর আগে গত এক সপ্তাহ ধরে সংসদের নিম্নকক্ষ প্রায় অচল হয়ে থেকেছে বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে। এর আগে অবশ্য কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস চায় না আদানি ইস্যুতে সংসদ অচল হয়ে যাক। তাঁর কথায়, 'আদানি ইস্যুতে নিশ্চিতভাবে সংসদে প্রতিবাদ হবে। তা বলে ওই ইস্যুতে লাগাতার সংসদ অচল করে যদি বন্ধ করা হয়, তাহলে রাজ্যগুলি নিজেদের বক্তব্য সংসদে রাখবে কীভাবে? ১০০ দিনের কাজ, আবাসের বঞ্চনা নিয়ে বাংলারও কথা বলার আছে সংসদে। শুধু আদানি আদানি করে সংসদের কাজ বন্ধ করলে তো বিজেপিরই লাভ। বিজেপিরই উদ্দেশ্য চরিতার্থ হবে। বিজেপিকে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে হবে না। তাহলে শুধু মুলতবি আর বিক্ষোভ করে কি বিজেপিরই সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে? বাংলাসহ বাকি রাজ্যের দাবিদাওয়াগুলোর তাহলে কী হবে?' এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস এবং জোটের বেশ কিছু দলের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে চলে আসছে।