করোনার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে একজোট করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুরোধ নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এব্যাপারে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। বলেন, ‘আমি ওদের কথায় কী করে নাক গলাবো?’
এদিন এক সাংবাদিক মুখ্যমন্ত্রীকে মোদীর , ‘আপনাদের বলেছে আপনারা করুন না। আমি আমার মতো বলব, প্রাইম মিনিস্টার প্রাইম মিনিস্টারের মতো বলবেন। আমি ওদের কথায় কী করে নাক গলাবো? এতো মহা মুশকিল। আমি করোনা সামলাবো, না আপনারা রাজনৈতিক যুদ্ধ লাগাবেন? আপনার যদি মনে হয় প্রাইম মিনিস্টার ভাল বলেছেন, আপনি শুনবেন। আমার ইচ্ছে হলে আমি ঘুমাবো।‘
মোদী বিরোধিতায় মমতার সুরে খাদে নামার পিছনে রাজনৈতিক কারণ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। নোটবাতিল থেকে বিভিন্ন সময় যে মমতা সবার আগে মোদীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, তিনিই এখন প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে কার্যত চুপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেকে মোদীর বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টা চালাতেন মমতা। তাই তাঁর সমস্ত বক্তব্যের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতেন। তখন মমতার দু’চোখ ছিল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।
কিন্তু তাতে হিতে হয়েছে বিপরীত। প্রধানমন্ত্রী হওয়া তো দূরে থাক, যেতে বসেছে রাজ্যপাট। তাই করোনাকে হাতিয়ার করে নিজেকে সুশাসক প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। আর এবার তাঁর রথের সারথি প্রশান্ত কিশোর। সম্ভবত তাঁরই পরামর্শ অনুসারে এখন রাজনৈতিক মন্তব্য করা বন্ধ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ তিনি বিলক্ষণ জানেন, তিনি প্রতিক্রিয়া জানালেই পালটা প্রতিক্রিয়া জানাবেন বিজেপির নানা স্তরের নেতারা। তাতে কিছুটা হলেও তাঁর ওপরে থাকা লাইমলাইট ঘুরে যাবে বিজেপির দিকে। পণ্ড হবে তাঁর সব শ্রম।