‘দাদা’-র পাশে দাঁড়ালেন ‘দিদি’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, অন্যায়ভাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সৌরভকে যাতে আইসিসিতে পাঠানো হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জিও জানান মমতা।
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বলেন, ‘আমি দেশবাসীর হয়ে এবং পুরো পৃথিবীর ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে আমি বলব, সৌরভ আমাদের গর্ব এবং সৌরভ যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মাঠেও খেলেছে এবং দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসনও চালিয়েছে। বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিল।’ সঙ্গে মমতা আরও বলেন, ‘সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কোন উদ্দেশ্যে, আমরা এটা জানতে চাই। আমি এখনও মনে করি যে ওকে যেভাবে অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাতে একমাত্র আইসিসিতে পাঠিয়ে (সেটার প্রায়শ্চিত্ত করা যেতে পারে)।’
সৌরভের হয়ে সওয়ালের মধ্যেই বিসিসিআই সচিব জয় শাহের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা। যিনি আবার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে। মমতা বলেন, ‘কোর্ট একটা নির্দেশ দিয়েছিল, যে নির্দেশের ফলে আরও তিন বছর (বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট) থাকতে পারত ও (সৌরভ)। আর একজন আছে, আপনারা জানেন, অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ কেন জানি না, কী কারণে অমিতবাবুর ছেলে রয়ে গেলে। সে থাকুক, আপনার কোনও যায় আসে না। সেও ছোটো ছেলে। আমি তো বিজেপি নই যে রোজ গালাগালি দেব। ভালো কাজ করলে সমর্থন করব, ভালো কাজ না করলে তখন ধরব।'
সৌরভ যে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট থাকছেন না, তা গত সপ্তাহেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরাগভাজন হওয়ায় সৌরভকে সরতে হচ্ছে। তারইমধ্যে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, সৌরভের সামনে আইসিসির দরজাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ তাঁর মাথা থেকে বিসিসিআইয়ের সমর্থন উঠে গিয়েছে। সৌরভ অবশ্য কখনও বলেননি যে তিনি আইসিসির চেয়ারম্যানের নির্বাচনে দাঁড়াতে চান। বরং সিএবরি নির্বাচনে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন সৌরভ।
তবে সৌরভকে আইসিসিতে পাঠানোর জন্য সওয়াল করেছেন মমতা। সোমবার তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করব, যাতে আইসিসির চেয়ারম্যানের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য সৌরভকে অনুমতি দেওয়া হয়। ওর সঙ্গে অবিচার হয়েছে।’ সেইসঙ্গে মমতার আর্জি, 'ও (সৌরভ) অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেজন্য ওর সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আমি একেবারে হতবাক। এটা বাজে ও দুঃখের বিষয়। তাই আমার সরকারকে আর্জি করব যে এই বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করবেন। সিদ্ধান্ত নিন। ও কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়। ক্রিকেটের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন।'