দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মনের ভাব প্রকাশ করে একসঙ্গে ৩টি ভাষায় কবিতা লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ‘নরক’ বা ‘হেল’ নামে এই কবিতা প্রকাশ করেন তিনি। মূলত দিল্লি হিংসাকে উদ্দেশ্য করে এই কবিতা লেখা হলেও শহরের নামের উল্লেখ নেই কোথাও। একই সঙ্গে বাংলা, হিন্দি ও ইংরাজিতে একই কবিতা লেখার এমন নজির বিরল বলে দাবি করছেন সাহিত্যপ্রেমীরা।
কবিতায় প্রথমেই মমতা প্রশ্ন তুলেছেন ‘কোথায় আছি?, কোথায় চলেছি?’ এর পর উত্তর দিয়েছেন নিজেই। বলেছেন, ‘স্বর্গ পেরিয়ে নরকে।’ এর পর হিংসায় নিহতদের স্মরণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। পরের অনুচ্ছেদে মানুষের মৃত্যুকে ‘হোলির আগেই রক্তের হোলি’ বলে উল্লেখ করেছন তিনি।
তার পর নিজের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন মমতা। লিখেছেন, ‘বন্দুকের নলে তুফান দেশ।’ তার পর মুখ্যমন্ত্রী তুলেছেন সেই অমোঘ প্রশ্ন, ‘গণতন্ত্র তবে কি শেষ?’
শেষে মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কে এর উত্তর দেবে?’ মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে মমতার শ্লেষ, ‘তুমি – আমি নীরব – বধির, নরক হল পীঠস্থান।’
বলে রাখি, পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির বৈঠকে যোগ দিতে সোমবার বিকেলে ভুবনেশ্বর উড়ে গিয়ছেন মমতা। বিমানে ওঠার আগে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে শান্তির ডাক দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তার পর দিন তাঁর কবিতায় স্পষ্ট ফুটে উঠল তাঁর উদ্বেগের ছবি। এদিন দেশে শান্তি কামনায় পুরীর মন্দিরে পুজো দেন তিনি।
ওদিকে সাহিত্যপ্রেমীরা বলছেন, এক সঙ্গে তিন ভাষায় একই কবিতা লিখতে পারার প্রতিভা বিরল। এর আগে বহু কবির অনুদিত কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আসল কবিতা ও তার ২টি ভাষায় অনুবাদ একসঙ্গে প্রকাশ সহজ কথা নয়।
বলে রাখি, বাংলা, হিন্দি ও ইংরাজি ছাড়িয়ে উর্দু ও সানতালি ভাষাতেও কবিতাগুচ্ছ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।