আরজি কর হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে কলকাতা পুলিশের উপর ‘হামলা’ চলায় উষ্মাপ্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পুলিশের অনেকেই মার খেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের একটা সাধুবাদ দেব। তাঁরা ধৈর্য হারাননি। এত তাণ্ডব দেখেও তাঁরা সহ্যের সীমা হারাননি। তাঁরা শান্তির জন্য কাউকে আঘাত করেননি। এটা ভালো।’
বুধবার রাতে তাণ্ডব চলবে RG কর হাসপাতালে
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরে বুধবার রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে হামলা চালানো হয়। শুধু হামলা নয়, পুরোপুরি তাণ্ডব চলে। ভাঙচুর চলে জরুরি বিভাগের বিভিন্ন জায়গায়।
আর সেই তাণ্ডবের সময় পুলিশ ভয়ে লুকিয়ে ছিল বলে দাবি করেছেন আরজি করের নার্সরা। তাঁদের দাবি, যখন তাণ্ডব চলছিল, তখন রোগীদের কম্বলের তলায় লুকিয়ে ছিলেন পুলিশ অফিসাররা। বাথরুমে গিয়েও লুকিয়ে ছিলেন বলে দাবি করেছেন নার্সরা। যাঁরা সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। স্লোগান তুলেছেন, ‘নো সেফটি, নো ডিউটি।’
আহত হয়েছেন পুলিশ অফিসাররা
যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে সেরকম কিছু জানানো হয়নি। ববং পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমরা গর্বিত ডিসি (নর্থ)-সহ ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত আমাদের সহকর্মীদের জন্য, যাঁরা সংখ্যায় তুলনামূলকভাবে কম থাকা সত্ত্বেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সীমিত ক্ষমতায় হামলাকারীদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করে যান আগাগোড়া, যতক্ষণ না অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আহত হয়েছেন আমাদের বহু সহকর্মী, তাঁদের মধ্যে কারও-কারও আঘাত গুরুতর। এই হামলার নেতৃত্বে থাকা দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করেছি আমরা। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
পুলিশের কাজের প্রশংসায় মমতা
সেই পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রাখায় পুলিশের প্রশংসা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমরা কি একবারও ভাবি যে দুর্গাপুজোর সময় কারা নিরাপত্তা দেয়? কারা দেয়? কলকাতা পুলিশ দেয়। রাজ্য পুলিশ দেয়। খেলা থেকে শুরু করে রাস্তার জ্যাম শুরু করে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রের শ্যুটিং থেকে শুরু করে - সব ব্যাপারেই তো এই রাজ্য পুলিশই কাজ করে। কলকাতা পুলিশ কাজ করে। তাঁদের মারধরের কারণ কী? তাঁরা তো কিছু করেনি।’