গোটা রাজ্যে শুদ্ধকরণের পথে হাঁটলেও নিজের ঘাঁটি কলকাতায় পুরনোদের ওপরেই ভরসা রাখলেন মমতা। প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ উড়িয়েই টিকিট দিলেন ৬ বিধায়ককে। টিকিট পেলেন তাঁর প্রত্যেক আস্থাভাজন। এমনকী তাঁদের সন্তানরাও। এমনই খবর মিলেছে তৃণমূল সূত্রে।
তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালুর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। যার জেরে বিধায়কদের ফের পুরভোটে টিকিট পাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা পুরভোটে মমতার জেদের কাছে হার মানলেন প্রশান্ত। নিজের ঘরে তিনি যে কোনও রকম গবেষণা করতে চান না তা ফিরহাদ অতীনদের টিকিট দিয়ে স্পষ্ট করলেন মমতা।
সূচনালগ্নে ‘দক্ষিণ কলকাতার দল’-এর তকমা ছাড়িয়ে আগেই সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল। আর গোটা রাজ্যে তৃণমূলের প্রধান শক্তি এখনো সেই কলকাতা। নিজের সেনাপতিদের সরিয়ে তাই কেল্লা বেদখলের ঝুঁকি নিলেন না মমতা।
প্রতিবেদন লেখার সময় প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত না হলেও তৃণমূল সূত্রের খবর, মোট ৬ জন বিধায়ক পুরভোটে টিকিট পেতে চলেছেন। ফিরহাদ, অতীন, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, পরেশ পালকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শোভনের ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে রত্নাকে। শান্তনু সেন টিকিট না পেলেও টিকিট পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তারক সিংয়ের পরিবারে ৩ জন টিকিট পেয়েছেন। টিকিট পেয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে, স্বর্ণকমল সাহার ছেলে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভাগ্নীক। টিকিট পেয়েছেন সাংসদ মালা রায়।
কলকাতা পুরসভায় বিদায়ী পুরবোর্ডে তৃণমূলের মোট ১২৬ জন কাউন্সিলর ছিল। তার মধ্যে ৩৯ জনকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ বলে দলীয় সূত্রের খবর। সঙ্গে দলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে না পারায় বেশ কয়েকজনের টিকিট কাটা গিয়েছে। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে।