অবশেষে সম্মুখসমরে নামলেন তিনি। আর নেমেই ঘটালেন বিস্ফোরণ। বৃহস্পতিবার নবান্নে বসে রাজ্যপালের ভূমিকার তুমুল সমালোচনা করে মমতা বললেন, এবার বাড়াবাড়ি করছেন উনি।
মঞ্চ সকালে বেঁধে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজে। বিকেলে সেই মঞ্চে বসেই নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা। বললেন, সহ্যেরও সীমা আছে। আমি চুপ করে থাকি মানে কেউ যা খুশি তাই বলতে থাকতে পারেন না।
তাঁর প্রশ্নের জবাব মুখ্যমন্ত্রী দেন না বলে রাজ্যপাল যে অভিযোগ করেছেন, এদিন সেখান থেকেই শুরু করেন মমতা। নথি দেখিয়ে বলেন, নিয়মিত রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন তিনি ও সরকারের আমলারা। এমনকী বুধবারও তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের একাধিক বার কথা হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর পর উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক প্রসঙ্গে আসেন মমতা। ২০১৭ সালে বিধানসভায় একটি আইনের ধারা পড়ে শোনান তিনি। তার পর বলেন, এই আইন মানছেন না রাজ্যপাল নিজে। বলে রাখি, ওই আইনে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছিল ওই আইন এনে। মমতা বলেন, আপনার সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠক হবে কি না তা তো শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিয়েছে। এক কথা কতবার।
এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওনার আচরণ দেখে মনে হয় আমরা ওনার চাকরবাকর। যখন তখন চিঠি পাঠিয়ে নানা জবাবদিহি তলব করেন। পদমর্যাদা মাথায় রেখে তারও সাধ্যমতো জবাব দিই।
তিনি বলেন, রাজভবনে বসে বিজেপির মুখপাত্রের থেকেও বিপদজনক কাজ করছেন রাজ্যপাল। বলেন, রাজ্যপালের পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কাউকে মানতে বাধ্য করতে পারেন না তিনি।
রাজ্যপালকে মমতার হুঁশিয়ারি। উনি যদি এখনও সংযত না-হন তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিরোধ গড়বেন তিনি।