প্রকল্পের নামকরণের বিতর্কের জেরে পশ্চিমবঙ্গে বহু ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় অনুদান দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এর আগে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রের টাকা চাই না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কাজ শেষ করবেন।’ এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের সাংসদ এবং বিধায়কদের উদ্দেশে বিশেষ আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কেন্দ্রীয় অনুদান না আসায় রাজ্যে আটকে পড়েছে বহু প্রকল্পের কাজ। এই আবহে মমতার নিদান, সাংসদ এবং বিধায়করা নিজেদের এলাকার উন্নয়নের জন্য যে টাকার বরাদ্দ পান, তা প্রকল্পের কাজে লাগান। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে এই টাকা খরচ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের আগে উন্নয়নের ইস্যু শাসকদলের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই আবহে কাজ চালিয়ে যেতে বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে মরিয়া মমতা এবং তৃণমূল। সেই কারণেই এবার সাংসদ, বিধায়কদের এই নির্দেশ দিলেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা এবং মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি প্রকল্পের মতো বেশ কয়েকটি প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে। এদিকে তৃণমূলের ২১৩ জন বিধায়ক এবং লোকসভা, রাজ্যসভা মিলিয়ে ৩৬ জন সাংসদ আছেন। সাংসদরা ৫ কোটি টাকা করে পান নিজেদের এলাকার উন্নয়নের জন্য। বিধায়করা পান ৬০ লাখ টাকা করে। এই টাকার অঙ্কটা কয়েকশো কোটি টাকা এনে দেবে রাজ্য সরকারের হাতে। এদিকে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে তাদের তহবিল থেকে খরচ করতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট অর্থ বরাদ্দের ১৫ শতাংশ রাস্তা নির্মাণের খাতে ব্যবহার করার জন্য জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এই অঙ্ক কষেই উন্নয়নের চাকা চালাতে থাকতে চান মমতা। মূল ফোকাস, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উন্নয়ন যাতে থমকে না যায়।