রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা। প্রথমে জানা গিয়েছিল, ২৫ জুলাই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে জানা যায়, ২৬ জুলাই দিল্লি যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রে এই খবরই পাওয়া যাচ্ছে।
দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও তিনি দেখা করতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাহলে কি জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার ব্যাপারে আগ্রহী হচ্ছেন তৃণমূল নেত্র? এই প্রশ্ন রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরপাক খেলেও নিজের দিল্লি যাওয়ার কারণ নিয়ে খোলসা করেননি তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। অধিবেশন শুরু হলে সাধারণত তিনি দিল্লিতে যান। এর আগে করোনার জন্য যাওয়া হয়নি। তবে এবারে যাবেন। অনেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়।
গত বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে রাজ্যে রুখে দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে চর্চা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক মমতার দিল্লি সফরের আগে উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনাও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন যে এক অন্য মাত্রা পেতে চলেছে, তা এখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকাইত সম্প্রতি কলকাতায় এসে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখাও করে গিয়েছেন। দিল্লি বিরোধী জোটে সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার, তৃণমূল নেত্রীর এই দিল্লি সফর আগামীদিনে জাতীয় রাজনীতিতে অন্য কোনও মাত্রা যোগ করতে পারে কিনা।