পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে খুব একটা মিষ্টি নয় সেকথা সবারই জানা। শনিবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই ধারা বজায় রেখেই ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি স্পষ্ট বলেন, করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি বলেন, মৃতদেহ গায়েব করা ও মৃতদেহ কমিয়ে দেখানোর মতো নৃশংস খবরও সামনে এসেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিনিধি তন্ময় চট্টোপাধ্যায়কে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন – তৃণমূল সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
রাজ্যপাল – করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে হেডলাইন হয়েছে।
করোনায় মৃতদের দেহ নির্মম, অসংবেদনশীলের মতো গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর মিলেছে। যা ভিতর থেকে মানুষকে নাড়িয়ে দেয়। নির্মম এই পদক্ষেপে মানুষ সন্ত্রস্ত। তারা ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটালে সরকার নৃশংস ভাবে তা দমন করেছে। ধাপার মাঠে মৃতদেহ সৎকারের মতো ঘৃণ্য লজ্জা থেকে আমরা কখনো বেরিয়ে আসতে পারব না। আমাদের দীর্ঘদিন এই লজ্জা কুরে খাবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলা ক্রমশ পুলিশ নিয়ন্ত্রিত রাজ্য হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। কেউ শাসনের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেই পুলিশ তাঁকে তলব করছে... রাজনৈতিক মতের বহিপ্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সরকার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দিন দিন বাড়ছে। সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। তাদের এমন চাপের মধ্যে আগে কোনও দিন কাজ করতে হয়নি।
আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যযোদ্ধারা চাপের রয়েছেন। গত ২০ মার্চ ও ৫ এপ্রিল হাত তালি দিয়ে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে গোটা দেশের স্বাস্থ্যযোদ্ধাদের কুর্ণিশ করল দেশবাসী। এই রাজ্যের সরকার বা শাসকদলের তখন দেখা মেলেনি।
প্রশ্ন – গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে আপনার মতামত কী?
রাজ্যপাল- গণবণ্টন ব্যবস্থা রাজনৈতিক নেতাদের গ্রাসে চলে গিয়েছে। এমন কী প্রধান মন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার বিনামূল্যের রেশনও গরিবের কাছে সঠিক ভাবে পৌঁছচ্ছে না।
প্রশ্ন – এই ব্যর্থতার জন্য কি রাজ্য সরকার একা দায়ী? না কি কেন্দ্রীয় সরকারও পদক্ষেপ করতে দেরি করেছে? যেমনটা তৃণমূল বলছে।
রাজ্যপাল – করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। সহমতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তার উদ্যোগ সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি দ্বিমত পোষণ করছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিবাচক ভাবে এগোচ্ছে। গত ১০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠি শুধু চোখই খুলে দেয়নি মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে। কিন্তু তাঁর (মুখ্যমন্ত্রী) রাজনৈতিক অ্যান্টেনা সব সময় খাড়া থাকে। আর নজর থাকে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে। যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতি করেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের বিরোধিতা ও প্রত্যাখ্যানমূলক মনোভাব গ্রহণযোগ্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারমুখী মানসিকতা ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সব সময় লড়াইয়ের মনোভাব পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভয়ানক ক্ষতি করে দিচ্ছে।
প্রশ্ন – মোটের ওপর পরিস্থিতিকে আপনি কেমন ভাবে দেখেন?
রাজ্যাপাল – এটা বাস্তবের মুখোমুখি হওয়ার সময়। সেজন্য রাজ্যের ক্রমশ ভেঙে পড়তে থাকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দায়ী। গণবণ্টন ব্যবস্থা রাজনৈতিক নেতাদের কবলে। রেশন অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে, কৃষক দুর্দশায় আছে... আর কত বলব? এই কথাগুলোই আমি বলে চলেছি। যদিও কোনও পদক্ষেপ করার চেষ্টা তাঁর মধ্যে আমি দেখিনি।
প্রশ্ন – কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল আসা কি খুবই দরকারি ছিল বলে আপনার মনে হয়?
রাজ্যপাল – সবাই এই সফরের প্রশংসা করছেন। তার ফলও দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যারা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের বিরোধিতা করেছে। কেন্দ্রীয় দলের করা সুপারিশগুলিই বলে দেয় সমস্যা কতটা গভীর ছিল।
প্রশ্ন – আপনার কি মনে হয়, মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দিতে রাজ্য সরকার অডিট কমিটি বানিয়েছিল?
রাজ্যপাল - প্রথম থেকেই তারা তথ্য গোপনের খেলায় নেমেছিল যাতে সংখ্যা কমিয়ে দেখানো যায়।
রাজ্যে চিকিৎসকদের ৮টি সংগঠন ও প্রবাসী চিকিৎসকরা এব্যাপারে বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু তাদের পরামর্শ কানে তোলা হয়নি।
রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল কড়া পদক্ষেপ করার পর তবু কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। তবে এখনো অনেকটা করা বাকি। সমন্ত দিক থেকে চাপে পড়ে শেষে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তথ্য গোপনের খেলা বন্ধ করেছেন ও অডিট কমিটিতে তালা দিকেয়েছন।
প্রশ্ন – নাগরিকদের রক্ষায় সরকারের ভূমিকাকে আপনি কী করে দেখেন?
রাজ্যপাল – এটা খুব ভাবনার ব্যাপার। উনি সব কিছুই রাজনৈতিক চশমা দিয়ে দেখেন, যার ফলে লকডাউনের বিধি অনেক জায়গায় ঠিকমতো মানা হচ্ছে না। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের পরোয়া না করে পুলিশের নাকের ডগায় ধর্মীয় জমায়েত হচ্ছে।
প্রশ্ন – তৃণমূল নেতারা টিভিতে খোলাখুলি বলেন যে আপনি বিজেপির ভাষায় কথা বলেন, এটা আপনার সাংবিধানিক পদমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে বলে কি আপনার মনে হয়?
রাজ্যপাল – তাদের প্রত্যেকেই রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছেন। আমি শুনেছি ওদের দলে না কি স্বাধীনতার বড্ড অভাব। এটা সবাই জানে। ওদের অনেকের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ রয়েছে। কী ভাবে তাদের বশ করে পোষ মানিয়ে রাখা হয়েছে, তা সত্যিই চিন্তার কারণ। এরকম মেরুদণ্ডহীন অবস্থান গণতন্ত্রের জন্য বিপদজনক। এমনকি এখন তো শোনা যাচ্ছে তাদের (তৃণমূল নেতাদের) সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে চালানো হচ্ছে।
প্রশ্ন – রাজভবন ও রাজ্য সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এর আগে কোনও রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে এত লিখতে দেখিনি। আপনি এটা কেন করছেন?
রাজ্যপাল – প্রথমে বলি, আগে সোশ্যাল মিডিয়াই ছিল না। ফসে সেই সমস্ত রাজ্যপালের সঙ্গে আমার তুলনা ঠিক নয়। দেশে ও বিশ্বে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বলায় কোনও আপত্তি থাকতে পারে না। আমার বক্তব্য ভুল প্রমাণিত হলে আমি আরও সমৃদ্ধ হবো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেউ ভুল প্রমাণ করতে পারেননি। কিন্তু আসল ছবিটা দেখে কেউ ভয় পেলে আমার কিছু করার নেই। আমি শুধু মানুষের কল্যাণ চাই, সাংবিধানিক ভাবে আমি তা করতে বাধ্য।
প্রশ্ন – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে আপনি ৮ মাস দায়িত্ব পালন করে ফেলেছেন। আর গোটা সময়টাই আপনার সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ শিরোনামে থেকেছে। আপনার কি মনে হয়, অন্য কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হলে এর কোনও ব্যতিক্রম হতো?
রাজ্যপাল – আমি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছি এই ব্যাখ্যাটা ভুল হবে। বরং উলটো দিকে যাঁরা রয়েছেন তাদের দায় বেশি। রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে লড়াইয়ের মনোভাব নিয়েছেন। সাংবিধানিক নির্দেশিকা মেনে চলার কোনও লক্ষণ নেই এদের মধ্যে। সংবিধানের ১৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের প্রতি তাঁর দায়িত্ব পালনে বাধ্য। কিন্তু বিষয়টিকে তিনি কখনও গুরুত্বই দেন না।
এছাড়াও আরও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি শাসনব্যবস্থাকে লাটে তুলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন। যেটা এই দেশের একটা আইন। তাঁর এই আচরণ সংবিধানের প্রতি তাঁর আনুগত্যের শপথের পরিপন্থী।
দেশের আইনের বিরুদ্ধে কী করে একজন মুখ্যমন্ত্রী দিনের পর দিন রাস্তায় নামতে পারেন? আমাদের সংবিধানে কিন্তু সব রোগের ওষুধ রয়েছে।
এছাড়া জনগণের করের টাকা বেআইনিভাবে তাঁর রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছে।
CAA নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোট চেয়ে সবাইকে হতবাক করে দিয়েছেন তিনি। উনি পশ্চিমবঙ্গকে ‘রাষ্ট্রের ভিতর রাষ্ট্র’-এর মতো চালাচ্ছেন। যা মেনে নেওয়া যায় না।
প্রশ্ন – মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাকে আপনি কী করে দেখেন?
রাজ্যপাল – দিন কয়েক আগেও তিনি কেন্দ্রের নির্দেশিকা প্রকাশ্যে অমান্য করেছেন। যাতে স্পষ্ট উনি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চালাতে চান। যা গণতন্ত্র ও সংবিধানের জন্য বিপদজনক। দেশের কোনও রাজ্য এর আগে কোনও দিন সাংবিধানিক ভাবনার প্রতি এতটা অবজ্ঞা নিয়ে পরিচালিত হয়নি।
‘রাজনৈতিক দলগুলি শকুনের মতো মৃতদেহের অপেক্ষায় রয়েছে’ বলে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে যখন গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার তখন তিনি তাঁর পুলিশ দিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতাদের কোয়ারেন্টাইন করে রেখেছেন। ওদিকে তাঁর দলের নেতারা যেখানে খুশি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
প্রশ্ন – তৃণমূল কংগ্রেস, এমনকী কিছু বাম নেতাকেও বলতে শোনা গিয়েছে, কোনও রাজ্যপাল এর আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এমন ব্যবহার করেননি। আপনার কি মনে হয়, এর আগে কোনও রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের কোনও ভুল-ত্রুটি খুঁজে পাননি?
রাজ্যপাল – পূর্ববর্তী রাজ্যপালরাও তাঁর কাণ্ডকারখানার স্বাদ পেয়েছেন। আমি সংবিধান মেনে চলি। উনি অন্য কিছু মেনে চলেন। আমি কখনো সংবিধানের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করিনি। সরকারের তরফেও কেউ এখন তেমন কিছু বলতে পারেননি।
রাজ্যপাল ক্ষমতায় ভাগ বসাতে চাইছেন বলে তিনি সম্প্রতি যে মন্তব্য করেছেন তা কেউ গ্রহণ করেননি। আগে তিনি বলেছিলেন, রাজ্যপাল সমান্তরাল সরকার চালাতে চাইছেন। আসলে এই সব কথা বলে তাঁর পর্বতপ্রমাণ ভুলগুলোকে উনি মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে চান। বিশেষ করে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে। অপ্রিয় সত্যিটা হল, রাজ্যের মানুষ খুব ভাল করে জানেন কে সংবিধান বহির্ভূতভাবে ক্ষমতা দখল করতে চান। সরকার আর সিন্ডিকেট কে চালায়। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে তিনি ‘সংবিধান বহির্ভূত সংস্থার হাতে শাসনব্যবস্থাকে তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন’। সবাই তো ব্যাপারটা জানে।
আমি মানুষের কল্যাণে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছি। কিন্তু তাঁর রজ্জুতে সর্পভ্রম হলে আমার কিছু করার নেই। আমি সবার থেকে পরামর্শ নিই। কিন্তু সংবিধান ছাড়া কারও নির্দেশ মানি না। কিন্তু সংবিধান ভূলুণ্ঠিত হলে আমি রাজভবনে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। রাজ্যপালের ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর ধারণা অত্যন্ত অবমাননাকর। রাজ্যপাল ‘রবার স্ট্যাম্প’ বা ‘পোস্ট অফিস’ নন।
প্রশ্ন – একেবারে শেষে, ব্যক্তি হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনি কী ভাবে দেখেন?
রাজ্যপাল – তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত স্তরে তেমন লেনদেন নেই। সামান্য যা আলাপচারিতা হয়েছে তাতে তাঁকে ভদ্রমহিলা বলেই মনে হয়েছে। কিন্তু একবার রাজনৈতিক টুপি পরে ফেললে তাঁকে চেনা মুশকিল। গভীর সঙ্কটের সময়ও উনি রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে পারেননি। রাজ্যের মানুষ খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁর স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব গণতান্ত্রিক সুবাস ও সুশাসনের জন্য ক্ষতিকর।