সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলায়’ কংগ্রেসকে ‘বিজেপির দালাল’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। এমনকি গতকাল গোয়ায় সাংবাদিক বৈঠকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাত শিবিরকে তোপ দেগে বলেন, ‘কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া।’ তবে এহেন কংগ্রেসকে পাশে নিয়ে বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়াতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে কংগ্রেসকে যেভাবে তৃণমূল আক্রমণ শানিয়েছে, তাতে বিজেপিরই সুবিধা হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছিল। বিজেপি বিরোধী ঐক্যে ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ঘাসফুল শিবির। গতবছর শীতকালীন অধিবেশনেও কংগ্রেসের কর্মসূচি থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছিল তৃণমূল। এই আবহে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে সোনিয়াকে নাকি মোবাইলে বার্তা পাঠিয়েছিলেন খোদ মমতা।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই নাকি সোনিয়াকে বার্তা পাঠান মমতা। মমতার ‘নিউ ইয়ার’ মেসেজে নাকি লেখা ছিল, ‘২০২১-এর কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে তা সত্ত্বেও নতুন বছরে নতুন করে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। বিজেপিকে ২০২৪-এর ভোটে একসাথে হারাতে হলে কৌশল তৈরি করার এটাই সময়। বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল দু’জন করে প্রতিনিধি প্রাথমিক আলোচনা শুরু করতে পারেন। এই বিষয়ে আর দেরি না করাই ভালো।’ তবে সোনিয়া গান্ধীর জবাব নাকি ইতিবাচক ছিল না। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সভানেত্রী বুঝিয়ে দেন যে এখনই নতুন করে কংগ্রেস এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না।
এদিকে এই আবহে গোয়াতে তৃণমূল নাকি কংগ্রেসের সঙ্গে জোচ বাঁধার বার্তা দিয়েছিল, তবে তাতে কর্ণপাত করেনি কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে গতকালই হাত শিবিরকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে অভিষএক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাহুল গান্ধী নিজেও তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে খুব একটা আগ্রহী নন। যা পরিস্থিতি, মমতার ইচ্ছে সত্ত্বেও ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের।