মুখ্যমন্ত্রীর চোখে ন্যাবা পরিষ্কার করে দেখুন রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে কি না। বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে প্রয়াত বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার দেহ নিয়ে পুলিশ-বিজেপি সংঘর্ষের পর এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যে তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে কথা বলবে বিজেপি। আবার কারও মৃত্যু হলে এই একই পথে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে মানসবাবুর দেহ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে। দেহ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোতেই বিজেপি নেতাদের বাধা দেয় বিজেপি। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ জ্যোতির্ময়সিং মাহাত, সাংসদ অর্জুন সিং ও ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও। সঙ্গে ছিলেন প্রয়াত মানসবাবুর ২ কন্যা। সেখানে বিজেপি নেতা ও সাংসদদের পুলিশ শারীরিক হেনস্থা করে বলে অভিযোগ।
এর পর দলীয় দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্তবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া প্রথমেই মিডিয়ার উপর হামলা চালায়। তাদের সরিয়ে দেওয়ার পর প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও আমাদের ৩ সাংসদের উপর হামলা হয়। যেহেতু সাংসদের উপর হামলা আমরা স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানাব। এক্ষেত্রে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনা যেতে পারে’।
সুকান্তবাবুর দাবি, ‘জ্যোতির্ময় সিং মাহাতর নিরাপত্তারক্ষীর গলা চিপে ধরেছিলেন। নিরপেক্ষ সরকার হলে ওর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। ওর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা হতে পারে’।
তিনি জানান, ‘আমাদের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। পুলিশ গাড়ি থামাতে আমরা নামি। তার পর মানসবাবুর দেহ সহ গাড়ি হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছিল পুলিশ। এর আগে নিজে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বিভিন্ন দেহ নিয়ে রাজনীতি করেছেন৷ আমরা একটু প্রশ্ন করতে গেছিলাম’।
মুখ্যমন্ত্রীকে সুকান্তবাবুর কটাক্ষ, ‘উনি শুনলাম, কোথায় ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে জানে না। তাই দেখাতে গিয়েছিলাম। ওনার চোখে ন্যাবা পরিষ্কার করুন। নইলে চোখটা অপারেশন করান’।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে যত মামলা দেবে তত ভালো। সেগুলো গণতন্ত্র রক্ষার মেডেল হয়ে আমাদের বুকে থাকবে।’