আজ তিনি উপনির্বাচনের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গণেশ চতুর্থীর দিনটিই তিনি বেছে নিয়েছেন। তবে তিনি খবর রেখেছেন ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের সম্পর্কেও। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এই শিবিরের সাফল্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৬ অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসে নানা প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন বলে শুক্রবার টুইটে উল্লেখ করেছেন তিনি। আর এই কাজের জন্য রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের জানিয়েছেন শুভেচ্ছাও।
ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন টুইটে তিনি লেখেন, ‘১৬ অগস্ট থেকে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসেছেন। আমি অত্যন্ত খুশি। এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মী–আধিকারিকদের শুভেচ্ছা জানাই। বাংলার মানুষকেও জানাই ধন্যবাদ। কারণ, তাঁরা ক্যাম্পে এসে সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন।’
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির শুরু হয়েছিল। তারপর সেখানে আরও বেশকিছু প্রকল্প দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জহর, ১০০ দিনের কাজ–সহ মোট ১০টি প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তার মধ্যে বাড়তি জনপ্রিয়তা পেয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আর তাতেই মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির।
একুশের নির্বাচনের আগে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। তা নিতে লম্বা লাইন দেখেছিল রাজ্যবাসী। এবার তার দ্বিগুন লাইন পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। তৃতীয়বার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার কুর্সি দখলের নেপথ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের যথেষ্ট প্রভাব ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।