ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো হিসেবে নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন জিতেই বিজেপিকে তোপ দাগলেন মমতা। নাম না করে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দেন মমতা। বলেন, ‘বিজেপি একটা চু-কিত-কিত দল, আর দলে শুধু দুই জন। একজন বলে চু, অন্যজন বলে কিত, আবার অন্যজন বলে কিত।’
এদিন বাজেটে হীরের আমদানির উপর কর হ্রাসের প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতা বলেন, ‘হীরের ঝোল বানাবে, চচ্চরি বানাবে, তরকারি বানাবে।' মমতা আরও বলেন, ‘কিছু বলতে গেলে নাভিশ্বাস পেগাসাস। বিরোধিতা করলেই ফোনে আড়ি পাতা হয়। আমরা চাই এর প্রেক্ষিতে ন্যায়বিচার হোক। আমি কখনও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলিনি। তবে আজকে আমি প্রশ্ন করতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন?’
বাংলার মহিমা বোঝাতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘বাংলা না থাকলে স্বাধীনতা পেত না ভারত। গান্ধীজি বাংলা, বিহার থেকে আন্দোলন করেছিলেন। আজকে এই সরকার দেশের পরম্পরা নষ্ট করছে। ইতিহাস ভুলিয়ে দিচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের টাকাও কমিয়ে দিয়েছে। এবার তো বাজেটে টাকাই নেই। কেউ ভাবতে পারে? কিন্তু কেউ বিরোধিতা করে না। আমি এরম প্রতিরোধ চাই যেখানে তুমি ঘেউ ঘেউ করলে আমি পাল্টা ঘেউ ঘেউ করব।‘
মোদী সরকারকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘পিএম কেয়ার্স ক্যাগের আওয়াত আসবে না। সরকারের টাকা নিয়ে বসে আছ। বিজেপির তিন রত্ন – সিবিআই, ইডি, অর্থ; বাকি সব অনর্থ। নাগরিক আন্দোলন নিয়ে কত লোক মারা গিয়েছে, কেউ যানে? আমরাই আন্দোলন করেছিলাম। মানুষের সব অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে। নোট বাতিল থেকে ব্যাঙ্ক বন্দি, পেগাসাস থেকে আদালত বন্দি; সব বন্দি করে দিচ্ছে। চ্যানেল বন্ধ করে দিচ্ছে। সাংবাদিকদের মারধর করা হচ্ছে। আমি তাই আজকে চাই উত্তাল যুব আন্দোলন। রেল থেকে সেল বিক্রি করে দিচ্ছে। সব বিক্রি হয়ে গেলে লোক কোথায় যাবে। খুব খারাপ দিন আসছে। ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। কোভিড কোভিড করছে। পুলিওয়ামা করে ভোট করে দিচ্ছে। সব সত্যি একদিন না একদিন বের হবে।‘