বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের সমালোচনায় শুভাপ্রসন্ন

The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের সমালোচনায় শুভাপ্রসন্ন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন

শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত কোনও রাজনৈতিক সুবিধা দেবে না। বরং নিষিদ্ধ করে ছবিটার গুরুত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফের একবার প্রকাশ্যে দ্বিমত পোষণ করলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। এবার দ্য কেরালা স্টোরি ছবিটি নিষিদ্ধ করা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করলেন তিনি। শুভাপ্রসন্নর এই মন্তব্যের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে।

সোমবার বিকেলে নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে দ্য কেরালা স্টোরি ছায়াছবিটির পশ্চিমবঙ্গে প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হন শিল্পী ও চলচ্চিত্রকারেরা। বিজেপি তো বটেই বামেদের তরফেও ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়। এপ্রসঙ্গে চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত কোনও রাজনৈতিক সুবিধা দেবে না। বরং নিষিদ্ধ করে ছবিটার গুরুত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হল।’

শুভাপ্রসন্নর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মতবিরোধের সূত্রপাত গত ২১ ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে এক অনুষ্ঠানে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বাংলা ভাষায় আরবি ও অন্যান্য ভাষার অনুপ্রবেশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘পানি বা দাওয়াতের মতো শব্দগুলি বাংলা ভাষায় ঢুকবে কেন? ’ ওই অনুষ্ঠানেই তার পর বলতে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জলকে কেউ ওয়াটার বলেন। কেউ পানি বলেন। এটা তো আপনাকে মেনে নিতেই হবে। মাকে কেউ কেউ আম্মা বলেন। এটাও মানতে হবে। ল্যাঙ্গুয়েজ মিনস কমিউনেশন। ’

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেও নিজের অবস্থান থেকে সরেননি শুভাপ্রসন্ন। এর পর তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ঢাকা-শান্তিপুরের ভাষা মিলেই কলকাতার ভাষা। এই কলকাতার যে ভাষার প্রকাশ সেটাই আসল বাংলা ভাষার প্রকাশভঙ্গি। আমি শুনেছি, অনেকে এখন বলেন কলকাতা অতীত এবং ঢাকা ভবিষ্যত। বাংলাদেশের লোকেরা জলকে পানি বলেন। আমরা সেটা বলি না। আমরা কারওকে আমন্ত্রণ জানালে দাওয়াত বলি না। আমরা গোসল করতে যাই না।’ সঙ্গে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে এই কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন'।

শুভাপ্রসন্নের এই মন্তব্যের পর তেড়েফুঁড়ে ওঠেন তৃণমূলের জনৈক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের কারও সঙ্গে ওঁর কথা বলা উচিত। ওঁর কোনও জমি বা পদ লাগবে কিনা জানানো উচিত। তাহলেই সব ঝামেলা মিটে যায়।’ ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় প্রকাশ্যে মুখ খুললেন শিল্পী।

 

বন্ধ করুন