দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোন বিতরণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ‘নম্বর বাড়িয়ে দেও’ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার রাজভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, মেধাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আপনি?
এদিন শুভেন্দুবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র – ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী এসব কথা বলছেন। এদের কারও ভোটার লিস্টে নাম ওঠেনি, উঠবে। সুকোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের কাছে অংকটা কেমন করবে, বিজ্ঞানটা কী হওয়া উচিত, আধুনিক শিক্ষা কী ভাবে নেবে, তা না বলে আপনি বলছেন এই সব রাজনৈতিক বক্তব্য’?
শুভেন্দু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তোমরা আগে নম্বর কম পেতে আমি ক্ষমতায় এসে নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছি। কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন মেধাকে আপনি? আমরা তো কেউ চাই না আমাদের বাড়ির ছেলে মেয়েদের নম্বর কেউ বাড়িয়ে দিক। আমরা শুধু জানতে চাই আমাদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা কত নম্বর পেয়েছে, কৃতকার্য না অকৃতকার্য? পশ্চিমবাংলার অভিভাবক অভিভাবিকারা দেখুক, এই ১০ হাজার টাকার ট্যাব দেওয়ার নামে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আগে তোমরা নম্বর নম্বর কম পেতে আমি এসে নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছি। সর্বনাশটা কোথায় করছে বুঝতে পারছেন না। গোড়াটাকে শেষ করছে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা ও মেধায় জগৎসেরা ছিল’।
এদিন কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে স্কুল – কলেজে কত কম নম্বর পেতাম আমাদের সময়ে। নাম্বারই দিত না। হাত দিয়ে নাম্বারই গলত না। আর এখন দেখো সেখানে কেউ ৮৮ পাচ্ছে, কেউ ৯০ পাচ্ছে, কেউ ৯৯ পাচ্ছে। কেন জান? আমি ক্ষমতায় আসার পর বললাম, সিবিএসসি আছে, ICSE আছে, আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রতিযোগিতায় যাবে। সেখানে CBSC-র ছেলে মেয়েরা যদি ৯৮ – ৯৯ পায়, আমাদের ছেলে মেয়েরা যদি না পায়, তাহলে তারা কী ভাবে প্রতিযোগিতায় যোগদান করবে? সেই জন্যই বাড়িয়ে দেও নম্বর। এবং এদের এমন ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করো, যাতে এরা সারা দেশে ও সারা বিশ্বে নজর কাড়তে পারে।’