রাজ্যপালের ভাষণের ওপর আলোচনার সময়ই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশন। তাঁর বক্তব্য থেকে শব্দ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ায় স্পিকারের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পর ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তিনি। বিরোধী দলনেতার এই আচরণের জন্য আবার স্পিকারের কাছে ক্ষমা চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪ অগাস্ট ২০০৫ অগাস্ট লোকসভায় বলতে না দেওয়ায় ডেপুটি স্পিকার চরণজিৎ সিং আটওয়ালকে লক্ষ্য করে কাগজের বান্ডিল ছুডেছিলেন মমতা। তার আগে লোকসভার স্পিকার পূর্ণ সাংমাকে লক্ষ্য করে শাল ছুড়েছিলেন তিনি। এমনকী তাঁর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন শুভেন্দু অধিকারীর আচরণের জন্য।
এদিন বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যপালের ভাষণের ওপর বলতে ওঠেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, রাজ্যাপালকে দিয়ে মিথ্যা তথ্য বলিয়েছে সরকার। তিনি কিছুক্ষণ বলার পরই তাঁকে বেশ কয়েকটি শব্দ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন স্পিকার। কিন্তু তা প্রত্যাহার করতে রাজি হননি শুভেন্দু। এর পরই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনবেন বলে সতর্ক করেন স্পিকার। পালটা বিধানসভায় স্লোগান দিতে শুরু করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়করা মিলে ওয়েলে নেমে পিসি চোর, ভাইপো চোর স্লোগান দিতে থাকেন। এর পর ওয়াক আউট করেন তাঁরা।
বিধানসভায় যখন তুমুল হট্টগোল চলছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী উঠে দাঁড়িয়ে স্পিকারকে বলেন, বিরোধী দলনেতার আচরণের জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি।