স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা না দিলে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রানাঘাটে দলীয় সভা থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দলীয় সভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী করে তাঁর প্রশাসনিক অধিকার ব্যবহার করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি সমস্যার সামাধান না করে হুঁশিয়ারিতে কাজ হবে।
এর আগে আলুর দাম কমাতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা। তাতে তেমন কাজ হয়নি। লাগাতার ৪০ – ৪৫ –এর মধ্যে ঘুরপাক খেয়েছে আলু। তার আগে বাসমালিকদের রাস্তায় বাস নামানোর জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও তেমন ফল হয়নি। হুকুমদখলের ভয়ে কয়েকদিন বাস রাস্তায় নামিয়ে ফের তা তুলে নিয়েছিলেন বাসমালিকরা। এবার তাঁর হুঁশিয়ারির সামনে বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
এদিন মমতা বলেন, ‘আমরা জেলার ছোট ছোট নার্সিংহোমকে বলছি, স্বাস্থ্য সাথী নিতে হবে। কেউ যদি রোগী ফেরায় সরকারের হাতে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে।’ স্বাস্থ্য সাথী চালু নিয়ে বড় হাসপাতালগুলির সঙ্গে কথা চলছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বেসরকারি হাসপাতালগুলির দাবি, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন পরীক্ষা ও পরিষেবার যে দর সরকার নির্ধারণ করেছে তাতে সাধারণ মানুষকে ভাল পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। সেই দর অবিলম্বে বৃদ্ধির দরকার। এই দাবি বিবেচনার জন্য ইতিমধ্যে একটি কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। তবে সেজন্য পদক্ষেপ করতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।