করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অভিনব সব পদ্ধতিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি। তথ্য গোপন থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি, সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি মেনেই তারা পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। এই পরিস্থিতিতে পালটা প্রচারের রণকৌশল ঠিক করতে শুক্রবার তৃণমূল জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে বৈঠক করতে চলেছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে করোনা লকডাউন চলাকালীন প্রচার ও সংগঠনের কাজ চালানোর পন্থা জানাতে পারেন তিনি।
মার্চের শেষে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে পথে নেমে বেশ সমর্থন কুড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে বদলেছে পরিস্থিতি। কয়েক সপ্তাহ বিরতির পর এপ্রিলে বিজেপি প্রচারে নামতেই চাপ বেড়েছে মমতার ওপর। তথ্য গোপন, রেশ দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে কার্যত জর্জরিত রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে পালটা প্রচারের রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসছেন মমতা।
সূত্রের খবর, কী করে পালটা প্রচারে বিজেপির আক্রমণকে প্রতিহত করতে হবে তা এদিন দলের নেতাদের বলতে পারেন মমতা। এছাড়া বলতে পারেন সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে প্রচারের কৌশল। এছাড়া রেশন দুর্নীর্তি নিয়েও এদিন মমতার ধমক খেতে পারেন বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতি।
বলে রাখি, রেশন দুর্নীতি নিয়ে আগেই কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন মমতা। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে রেশনের চাল সরানোর অভিযোগ পেয়ে নবান্নে বসে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কোনও অবস্থাতেই রেশনের চাল ত্রাণ বলে বিলি করা যাবে না। ত্রাণ দিতে গেলে তা কিনে দিতে হবে। রেশনের চাল বিলি হবে রেশন দোকান থেকেই।