রাজ্যে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কেন কম তার ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাতে নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত যে অভিযোগ করেছেন, তার জবাব মেলেনি। এদিন মমতা বলেন, ‘রাজ্যে করোনা পরীক্ষার ল্যাবের সংখ্যা কম ছিল।’ কিন্তু হঠাৎ পরীক্ষাকেন্দ্রে কম নমুনা কেন পাঠানো শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর, তার জবাব দেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বুধবার নবান্নে মমতা বলেন, ‘আগে তো একটা ল্যাব ছিল। এখন তাও ২টো ল্যাব হয়েছে। কিন্তু যারা টেস্ট করবে তাদের ট্রেনিং দিতে হচ্ছে...’ মমতার এই জবাবে যদিও শান্তাদেবীর অভিযোগের জবাব মেলেনি।
সোমবার এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগে কেন্দ্রীয় সংস্থা নাইসেডের নির্দেশক শান্তা দত্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যা অনুপাতে করোনা পরীক্ষার নমুনা খুব কম। রাজ্য সরকার কেন আমাদের কাছে নমুনা পাঠাচ্ছে না বলতে পারব না। তবে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কিট ও পরিকাঠামো রয়েছে।’ তিনি জানান, সোমবার পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষার ২৭,৫০০ কিট মজুত ছিল। প্রতিদিন ১,০০০টি নমুনা পরীক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে নাইসেডের। কিন্তু গত তিন দিনে যথাক্রমে ১৮টি, ৯টি ও ২০টি নমুনা নাইসেডে এসেছে বলে জানান তিনি। যদিও তার আগে পর্যন্ত দিনে ৮০ – ৯০টি করে নমুনা আসছিল বলে জানান শান্তাদেবী।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা গোপন করতে রাজ্য সরকার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরাও। এক্ষেত্রে একসুরে গলা চড়িয়েছে বাম ও বিজেপি। তাদের দাবি, পরীক্ষা না করিয়ে করোনা রোগীকে কিডনির রোগী বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে চালানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। যদিও মৃত্যুর পর তার দেহ পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে না। দেহ সৎকার করছে প্রশাসন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর জবাবে অবশ্য শান্তাদেবীর তোলা প্রশ্নের জবাব মেলেনি। হঠাৎ করে রাজ্যে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা ৯০ থেকে ৯ কী করে হয়ে গেল তার জবাব দেননি মমতা।
বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষার হার যে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অস্বাভাবিক হারে কম সেকথা প্রথম জানিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস।