সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাতেই সিট গঠন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তদন্তের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সিট গঠনের ঘোষণা করা হতেই মালব্য দাবি করেন যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে বাঁচাতেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই যাতে সন্দীপকে ধরতে না পারে, সেজন্য তাঁকে আগেই গ্রেফতার করে নেবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। চেষ্টা করা হবে সন্দীপকে বাঁচানোর। সেই পরিস্থিতিততে তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা'কে ন্যায়বিচার দিতে মমতার পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি তুলেছেন মালব্য।
'মমতা ইস্তফা না দিলে নায্য তদন্ত হবে না'
সোমবার রাতে মালব্য বলেন, 'এটা আর কিছুই নয়, (সন্দীপ) ঘোষকে বাঁচাতে এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাল। ঠিক সময় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, যাতে তাঁকে গ্রেফতার করতে না পারে সিবিআই। যদি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন, তাহলে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় স্বাধীন ও ন্যায্য তদন্ত সম্ভব নয়। ওঁনার এখনই পদত্যাগ করা উচিত।' সেইসঙ্গে ‘MamataMustResign’ ট্যাগও ব্যবহার করেন মালব্য।
CBI-র ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সন্দীপ
এমনিতে যে দিন সন্দীপকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই, সেদিনের তারিখেই নবান্নের তরফে সিট গঠনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গত ১৬ অগস্ট সন্দীপকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমবার সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারপর ১৭ অগস্ট, ১৮ অগস্ট এবং ১৯ অগস্ট ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছেন। বেরিয়েছেন রাতে। একাধিক মহলের তরফে তাঁকে গ্রেফতারির দাবি তোলা হলেও আপাতত সিবিআই সেই পথে হাঁটেনি।
অনুব্রতের সময়ও একই অভিযোগ উঠেছিল
সেই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সন্দীপের আমলে আরজি করের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সিট গঠন করা হওয়ায় মালব্য যে অভিযোগ তুলেছেন, তা দু'বছর আগে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও তুলেছিল বিজেপি।
যেদিন দিল্লির আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে গরুপাচার মামলায় রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, তার পরদিনই ‘কেষ্ট’-কে গ্রেফতার করেছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তৃণমূলেরই কর্মীকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে দেড় বছরের পুরনো মামলায় আচমকা তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যা নিয়ে পরবর্তীতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল রাজ্যকে।