আগামীকাল, সোমবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীরাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। আবার পৃথক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মোদী–মমতার। তবে শীতকালীন অধিবেশনের আগে সংসদে দলের অবস্থান নির্ধারণে সাংসদদের নিয়ে স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কবে হচ্ছে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক? সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির বুকে আগামী ৭ ডিসেম্বর এই বৈঠক হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবার কথা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। আসন্ন সংসদের অধিবেশনে জনস্বার্থ সম্পর্কিত কোন কোন বিষয়গুলিকে আরও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হবে সেটার পাঠ সাংসদদের তৃণমূল নেত্রী ওই দিন দেবেন। দু’দিন আগে নবান্নে গিয়ে এই বিষয়ে কথা বলে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই এই দু’জনের উপস্থিতিতে সাংসদদের নিয়ে বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আর কী জানা যাচ্ছে? এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়াদিল্লি সফর রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ এই পর্বে মমতার সঙ্গে কোনও বিরোধী দলের নেতাদের সাক্ষাৎ হয় কি না, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আবার ৭ তারিখ সাংসদদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হবে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের নয়াদিল্লির বাড়িতে এই বৈঠক হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
কেন এই বিশেষ বৈঠক? সংসদের অধিবেশনে বিজেপি বিরোধী আওয়াজ কীভাবে তৃণমূল কংগ্রেস তুলে ধরবে সেটার রূপরেখা তৈরি হবে ওই বৈঠকে। বাংলায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পর তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য এখন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূল সুপ্রিমো আগেই ঘোষণা করেছেন, বাংলায় যখন হারাতে পেরেছি, তখন দিল্লিতেও পারব। সুতরাং কেন্দ্রের গদি থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। মমতা একাধিকবার বলেছেন, আঞ্চলিক শক্তিগুলির একজোট হওয়া প্রয়োজন। সেই সূত্রে বিরোধীদের মিলিত হওয়ার প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে যায় কি না এখন সেটাই দেখার।