আত্মসমালোচনাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে কুণাল ঘোষ জানান, ‘আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। আত্মসমালোচনার জায়গায় গুরুত্ব দিতে হবে। দল বড়, সরকার বড়, আরও দায়িত্ব, আরও কাজ। কর্মযজ্ঞ চলছে।
গত বছর আজকের দিনেই বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল। বিজেপি সহ বিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সোমবার তৃণমূলের এই বিপুল জয় উপলক্ষে ভবিষ্যতবাণী করলেন কুণাল ঘোষ। সেই ভবিষ্যৎবাণীকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ফেসবুকে ঠিক কী লিথেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র। ফেসবুকের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্যোতি বসুর নজির ভেঙে রেকর্ড গড়বেন তিনি। এরপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন অভিভাবক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ পাশাপাশি তিনি যে দিল্লি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সেবিষয়েও জানিয়েছেন কুণালবাবু। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘যদি দিদিকে দিল্লি ও দেশের দায়িত্ব নিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরেক রকম তো হবেই।’ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের এই পোস্ট রাজ্য রাজনীতিতে এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল। আত্মসমালোচনাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে কুণাল ঘোষ জানান, ‘আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। আত্মসমালোচনার জায়গায় গুরুত্ব দিতে হবে। দল বড়, সরকার বড়, আরও দায়িত্ব, আরও কাজ। কর্মযজ্ঞ চলছে। ৯৯ শতাংশই ভালো। ১ শতাংশ ভুল থাকলে ব্যবস্থা হচ্ছে ও হবে। যে কর্মী, সমর্থক, সংগঠকরা ২০২১ সালে চরম ঝুঁকির যুদ্ধে জান কবুল করে লড়াই দিয়েছেন, তাঁদের সম্মান, মর্যাদা ও অধিকারবোধ সত্যিই স্বতন্ত্র।’ এদিন বিরোধীদের আক্রমণ করতেও ছাড়েননি কুণাল। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘মনে রাখুন, বিজেপির শীর্ষ নেতাদের ডেইলি প্যাসেঞ্জারি, চার আনার বিজেপি কর্মীদের বারো আনার ঔদ্ধত্য, অসভ্যতাকে হারিয়ে জয়। মনে রাখুন, সিপিএম, কংগ্রেসকে শূন্যে নামিয়ে দিয়ে জয়।’