বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > রেড রোড যেন অতীতের সিঙ্গুর, বুধবারে ধর্নায় বসবেন মমতা, হাইভোল্টেজ সভা অভিষেকের

রেড রোড যেন অতীতের সিঙ্গুর, বুধবারে ধর্নায় বসবেন মমতা, হাইভোল্টেজ সভা অভিষেকের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ANI Photo) ফাইল ছবি  (ANI)

মঙ্গলবার সিঙ্গুরের রতনপুর থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলে তিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বাংলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তবে এবার আর সিঙ্গরে ধর্নামঞ্চ নয়। একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থানে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী।

তখন বাম জমানা। সিঙ্গুরে তৃণমূল নেত্রী দীর্ঘ ধরনার কথা মনে আছে অনেকেরই। তবে তিনি তখন ছিলেন বিরোধী দলের নেত্রী। আর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আবার তিনি ধর্নায় বসবেন। এবার কলকাতার রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধর্নায় বসবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুর থেকে ধর্নায় বসবেন তিনি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসবেন তিনি।

এদিকে মমতার অবস্থানস্থল থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরত্বে সভা হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ডি আন্দোলনকারীরাও রয়েছেন ওই শহিদ মিনারে। তার পাশেই সভা হবে অভিষেকের। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের যেখানে বিক্ষোভস্থল রয়েছে তার পাশেই হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। দুটি সভার মধ্য়ে করা হয়েছে টিনের দেওয়ালের ব্যবধান। সেখানে থাকবে পুলিশের ব্যারিকেড। কলকাতা হাইকোর্ট শর্ত সাপেক্ষে অভিষেকের সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে এলাকা। উভয় পক্ষের মাইক যেগুলি একে অপরের দিকে ছিল সেগুলি খুলে ফেলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে একেবারে উত্তেজনার প্রহর গুণছে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র।

একের পর এক হাই ভোল্টেজ অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার রাতের মধ্য়ে মমতার অনুষ্ঠানস্থলের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জোরকদমে কাজ চলছে। মূল মঞ্চের কাছে আরও দুটি মঞ্চ করা হচ্ছে। এদিকে বর্তমানে তিনি মুখ্য়মন্ত্রী। তাঁর প্রশাসনিক কাজও থাকে। সেকারণে মঞ্চের কাছে একটি ঘর তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে বসে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কাজও সেরে নিতে পারবেন। সব মিলিয়ে একেবারে সাজো সাজো রব। গোটা রেড রোড চত্বরকে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। একদিকে কর্মীদের যাতায়াতে যাতে সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। বৃষ্টির হাত থেকে তাদের রক্ষার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। অন্য়দিকে সাধারণ গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে যাতে সমস্যা না হয় সেটাও দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে অনেকেই মনেই ভেসে আসছে সেই সিঙ্গুরের ছবি।

তবে মঙ্গলবার সিঙ্গুরের রতনপুর থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলে তিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বাংলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তবে এবার আর সিঙ্গরে ধর্নামঞ্চ নয়। একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থানে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে মমতার এই ধর্না ও অভিষেকের সভা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, সরকারি কর্মীদের উপর হামলা হলে সন্ধ্যার পর থেকে আমরা অচল করে দেব।

 

বন্ধ করুন