আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি দিলেন মমতা। মূলত ওষুধের দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদীকে চিঠি দিলেন মমতা।
কী আছে সেই চিঠিতে?
ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি ১৪ অক্টোবর একটি গেজেট নোটিফিকেশন করেছিল। সেখানে টিবি, অ্যাসমা, থ্যালাসেমিয়া, মনোরোগ,চোখের সমস্যা, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ সেই সমস্ত রোগের ওষুধের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে NPPA এই ওষুধের দাম পর্যালোচনা করেছিল। তার মধ্য়ে ডায়াবেটিস, রক্তচাপের ওষুধের বিষয়গুলিও রয়েছে।
মমতা লিখেছেন, এই ওষুধের দাম বৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি বোঝা চাপবে। তাঁরা মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যাবেন। সেই সঙ্গেই মুখ্য়মন্ত্রী লিখেছেন এই ওষুধের দাম বৃদ্ধির জেরে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের উপরেও বাড়তি বোঝা চাপবে। কারণ এই রাজ্যে রোগীদের বিনা পয়সায় ওষুধ দেওয়া হয়। আপনি আশা করি এই বিষয়ে একমত হবেন যে এই যে বাড়তি বোঝা তার জেরে রাজ্য়ের পাশাপাশি দেশের উপরেও সমস্যা তৈরি হবে।
মমতা লিখেছেন একে তো সাধারণ জিনিসের দাম বাড়ছে। তার উপর যদি জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হয়ে যাবে। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি যাতে ওষুধের দাম বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত সেটা প্রত্যাহার করা হয়। মানুষের কল্যাণ আমাদের মূল লক্ষ্য। লিখেছেন মমতা। এদিকে এবার প্রধানমন্ত্রী কী পদক্ষেপ নেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে স্বাভাবিকভাবেই ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ওষুধের দাম বৃদ্ধি করা হলে সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষের বাজেটও বাড়তে থাকবে। এই দাম বাড়লে সবথেকে সমস্যায় পড়বেন একেবারে প্রান্তিক মানুষরা। কারণ অনেকেরই নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। তার উপর যদি ওষুধের দাম বাড়তে থাকে তাহলে সমস্যা ক্রমশই বাড়বে।
তবে এবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যুতে চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জীবনদায়ী ওষুধের দাম কমানোর ব্যাপারে আবেদন করেছেন। সেই আবেদনে সাড়া মেলে কি না সেটাই দেখার।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতি। তার মধ্য়েই কি এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য এই চিঠি দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী?