হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান নৈরাজ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির থাকবেন রাজ্য পুলিশের ডিজিসহ শীর্ষ কর্তারা। রুদ্ধদ্বার সেই বৈঠকে সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন - ওখানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এখানে প্রতিক্রিয়া হতে পারে: দিলীপ ঘোষ
পড়তে থাকুন - বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার: VHP
গত সোমবার হাসিনা দেশ ছাড়তেই সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বাংলাদেশের অরাজকতা যাতে সীমান্তের এপারে প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশ আসে নয়া দিল্লি থেকে। একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয় রাজ্য সরকার। ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকদের জেলায় জেলায় ঘুরে সীমান্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র দফতর। সেই রিপোর্ট নিয়ে বুধবার নবান্নে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশে নৈরাজ্যের কোনও প্রভাব এরাজ্যে পড়তে পারে কি না তা খতিয়ে দেখবেন পুলিশ আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, রাজ্যের সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বিশেষ করে দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে যেন নিয়মিত পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট আসে সেব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ কী ভাবে লাগু করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে আজকের বৈঠকে।
আরও পড়ুন - আমিষ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, ঘোষণা করে কারণ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি
বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংযত আচরণ ও মন্তব্য করতে করতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেদেশে যে ভাবে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে তা নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ওপারে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে এপারে তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।