১৯৯২ সালে যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেডের সভায় বাম শাসনের প্রতীকী ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজিয়েছিলেন। প্রায় ১৯ বছর পর, ২০১১ সালে, বাম শাসনের অবসান ঘটে। এবার, ৩২ বছর পর, আবারও কলকাতার রাজপথে দাঁড়িয়ে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা, তবে এবার তাঁর এই প্রতীকী ঘণ্টাটি বিজেপির জন্য।
সোমবার বৃষ্টিভেজা রাস্তায় উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে রোড শো করেন মমতা। বেলেঘাটা গান্ধীমূর্তি থেকে পদযাত্রা শুরু করে মমতা প্রথমেই ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজান। ঘণ্টার গায়ে ‘বিজেপি’ লিখে সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন। ‘গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়েছে,’ মমতার নিশানায় তাপস, বিজেপি প্রার্থীর পাল্টা জবাব
জানা যায়, ৩২ বছর আগে মমতা যে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজিয়েছিলেন, তা তৈরি করে নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা পরেশ পাল। আজকের অনুষ্ঠানেও সেই ‘মৃত্যুঘণ্টা’ তৈরির উদ্যোগ নেন তিনিই। পরেশ পালের এলাকা থেকে প্রস্তুত হয়ে আসে এই ঘণ্টাটি।
আলোচনায় আসে ‘মৃত্যুঘণ্টা প্রসঙ্গ’
কিছুদিন আগে সুদীপের প্রচারে গিয়ে স্বর্ণকমল সাহা ও পরেশ পালের সঙ্গে মমতার কথা হয়। সেই সময় ৩২ বছর আগের ‘মৃত্যুঘণ্টা’র প্রসঙ্গ উঠে আসে। এরপরই দলের পক্ষ থেকে পরেশকে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন। ‘সিপিএমের কোনও অফিসার এটা করেছেন’, না জানিয়ে নোটিশ পাঠানো নিয়ে তোপ মমতার
তবে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে একটি প্রশ্ন উঠছে—মমতা কি পরেশকে দিয়ে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বানিয়ে কোনও বার্তা দিতে চাইলেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সুদীপের সঙ্গে পরেশ গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রয়েছে। মমতা হয়তো বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে বিজেপির ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজাতে গেলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
বিজেপি বিধায়ক তথা দলীয় মুখপাত্র শঙ্কর ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘উনি রাজ্যটাকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। মানুষ তৃণমূলের অপশাসনের অবসান ঘটাতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা বুঝেছেন বলেই নিজের হাতে মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন।’
মমতার এই ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজানো শুধু প্রতীকী নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা। ২৪-এর নির্বাচনী আবহে এই ঘণ্টার ধ্বনি নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন। ‘১ জুন আমি যেতে পারব না’, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে অনুপস্থিতির কারণ জানালেন মমতা
আরও পড়ুন। অটোতে চেপে রেমাল দুর্গতদের মাঝে অভিষেক, TMC সেনাপতির জামার দাম নিয়ে বিস্ফোরক BJP