রবিবার রাত বারোটা পনেরো মিনিট নাগাদ বিশেষ বিমানে আগরতলা থেকে কলকাতায় ফেরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাও অভিষেকের সঙ্গেই কলকাতায় ফেরেন। এরপর জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। দেবাংশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিন তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ধআড়গ্রাম সফরের আগে ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ উডবার্ন ওয়ার্ডে পৌঁছান মমতা। মমতার সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাসও। ত্রিপুরা সরকার ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি নিশ্চিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই এই সব ঘটনা ঘটেছে। আমি বিশ্বাস করি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এই কাজ করানোর মতো এত সাহস নেই। আমাদের ছাত্র নেতাদের পুলিশের সামনে দাঁড় করিয়ে মেরেছে। সুদীপের মাথা ফেটে গিয়েছে। জয়ার কান ফেটেছে। যারা অত্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ৬ ঘণ্টা ওদের কোনও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, জল দেওয়া হয়নি। এতটাই নির্দয় বিজেপি। এর আগে ওরা অভিষেকের গাড়িতেও ভাঙচুর করেছিল।'
গতকাল থেকেই ত্রিপুরার ঘটনা প্রবাহের উপর নজর রেখেছিলেন মমতা। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির নির্দেশে তৃণমূল নেতাকর্মীদের এসকর্ট দেওয়ার নাম করে ভুল পথে নিয়ে যায় পুলিশ, যেখানে বিজেপির সমর্থকরা জটলা করে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে তৃণমূল নেতাদের উপর হামলার পর পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার নাম করে তাঁদের থানায় নিয়ে গিয়ে, পরে নাইট কার্ফু ভাঙার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করে। ত্রিপুরায় আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে বলে তোপ দাগেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে যুবনেতারা জামিন পেলে তাঁদের সঙ্গে করে কলকাতায় নিয়ে আসেন অভিষেক।