বিজেপি-কমিশন আঁতাতের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর আগে নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখতেই খুব সম্ভবত এহেন আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে নন্দীগ্রামে হারলেও তাঁর দল ২১৩টি আশন পেয়েছে। তাও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন মমতা।
মঙ্গলবার শুরু থেকেই বিধানসভার অভিবেশন কক্ষ তোলপাড় হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীকে ভাষণে বাধা দেওয়া। তারপর বিজেপি বিধায়কদের ওয়াক আউট। আর তারও পরে বিরোধীদের কার্যত তুলোধনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মমতা নিজের বক্তব্য পেশের শুরু থেকেই কার্যত নিশানায় রাখেন বিরোধী শিবিরকে। একের পর এক আক্রমণ। বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের গোপন আঁতাতের অভিযোগও উস্কে দেন। বলেন, 'বাংলায় ক্ষমতা দখলের জন্য কী করেনি? কুৎসা, অপপ্রচার, ডিআইজি, আইসি বদল করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ভিভিপ্যাট গোনা হয়নি। আমি হলফ করে বলতে পারি নির্বাচন কমিশন যদি মদত না করত, তাহলে বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না।'
কমিশন আর বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে বলেন, '৫ তারিখের পর থেকে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। অতটাও সহজ নয় প্রশাসন চালানো। বন্দুকের গোলার সামনে দাঁড় করিয়ে নির্বাচন করিয়েছে। বাংলার মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে বাংলার মানুষের মেরুদন্ড কেউ ভাঙতে পারে না। আট দফায় কখনও নির্বাচন হয়নি। আমরা কেবল বলেছি খেলা হবে ও জয় বাংলা। আগামী দিনে হবে খেলা হবে দিবস।'
মমতা এদিন আরও বলেন, 'আমরা বাম জমানাতেও বাংলার বদনাম করিনি। বাংলাটা আমাদের। গেরুয়াধারীদের বলি বাংলা এখনও অনেক বিষয়ে এগিয়ে। উত্তরবঙ্গ ভাগ করার চেষ্টা করে লাড্ডু খেয়ে যাচ্ছেন। বাংলায় একটাই লাড্ডু পাবেন, নারকেল নাড়ু। বাংলাকে ভাগ করতে দিচ্ছি না।' মমতার এই আখ্রমণ যেন ২০২৪ সালের মহড়া।