সংক্রমিত স্যালাইনে রোগীমৃত্যুর ইস্যু যে এত সহজে হাতছাড়া করবে না বিজেপি তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে তিনি স্পষ্ট করে দেন এই ইস্যুতে আরও বৃহত্তর কর্মসূচিতে ঝাঁপাতে চলেছে তারা।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরের পরে যাদের RL স্যালাইন দেওয়া হয়েছে আমরা সেই রোগীদের তালিকা জোগাড় করছি। ১০ ডিসেম্বরের আগের কিছু হলে সরকারকে দায়ী করব না। কিন্তু ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত যত লোকের দেহে নিজের লোকেদের দিয়ে সরকারি হাসপাতালে মমতা ব্যানার্জি এই বিষ ঢুকিয়েছেন তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার না নিলে আমরা ছাড়ব না। দরকারে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নিক। নইলে আমরা রোগীর আত্মীয়দের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বসবেন সেখানে যাব। রোগীরাও সঙ্গে যাবে। আপনাকে বসতে দেব না। আপনি উত্তরবঙ্গে বা দক্ষিণ বঙ্গ যেখানেই ছুটি কাটান, আপনাকে শান্তিতে থাকতে দেব না।’
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘যে ভাবে সংক্রমিত স্যালাইন গরিব রোগীদের দেহে দেওয়া হয়েছে এটা বিশাল দুর্নীতি, এটা অপরাধ। লক্ষের বেশি রোগী এর জন্য প্রভাবিত হতে পারেন। ইন্দৌরে আরএল কোম্পানির কারখানা ১৫ সালের আগে বন্ধ করে দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। তাকে পশ্চিমবঙ্গের চোপড়ায় ডেকে এনে জমি দিয়ে ১ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। আরএল সংস্থার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চুক্তি হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল যত স্যালাইন উৎপাদন করবে তা কিনে নিতে বাধ্য পশ্চিবঙ্গ সরকার। এই সংস্থার ডিরেক্টর মুকুল ঘোষের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে ইন্দৌর পুলিশ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সংস্থার কারও বিরুদ্ধে এখনও কোনও FIR হয়নি। কারণ, এর কাটমানি সোজা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে গিয়েছে। মুকুল ঘোষের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের যোগাযোগ রয়েছে।’