আরজি কর কাণ্ডে আদালতে সাজা ঘোষণার ঠিক আগে সিবিআইকে এড়িয়ে রাজ্য পুলিশের পিঠ চাপড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারব্যবস্থাকেও ধন্যবাদ জানালেন তিনি। শুধু মুখে নিলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নাম।
সোমবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ উড়ে যাওয়ার আগে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে মমতা বলেন, ‘রায় হওয়ার আগে কিছু তো বলব না। ফাঁসির দাবিতে আমিও মিছিল করেছিলাম। সবাই মিছিল করেছে। এটা বিচারকদের ওপর নির্ভর করে। এবং কেসটা কী করে সাজানো হয়েছে। আমরা তো পর পর ৩টে কেসে ফাঁসি করে দিয়েছি। আমাদের মধ্যেও হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটা ৫৩ - ৫৪ দিনের মধ্যে করেছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে একটু টাইম লাগে। কারণ বিচারকদেরও একটু দেখতে হয়। এটা বিচারব্যবস্থাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই। আমাদের তদন্তকারী দলকেও ধন্যবাদ জানাই। এই কেসটাতেও আমরা সবাই বিচার চাই।
আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশকর্মী নিয়োগ বন্ধ করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে রাজ্যে থানা পরিচালনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাড়বাড়ন্তের জেরেই আরজি কর কাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্টও। আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষক ও খুনিু সঞ্জয় রায়ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তাকে কলকাতা পুলিশের ব্যারাক থেকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশই। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন টালা থানার ওসি।