অবিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিকে জ্বালানির দাম কমাতে বলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একতরফা ভাবে এই কথা বলতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী। পেট্রোল – ডিজেলে দাম বাড়িয়ে লুঠ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিন মমতা বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ডাকা বৈঠকে এই বিষয়ের অবতারণা করা উচিত হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। তাছাড়া এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারও বক্তব্য রাখার সুযোগ ছিল না। কিন্তু উনি তো ওনার অ্যাজেন্ডা মতো কাজ করবেনই।
এর পর মমতা বলেন, ‘আমরা কোথা থেকে দাম করাবো। আপনি যে ভাবে দাম বাড়িয়েছেন তার পর একতরফাভাবে যে ভাবে রাজ্যগুলিকে দাম কমানোর কথা বলেছেন তা বিভ্রান্তিমূলক। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিকে প্রচুর টাকা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু অবিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈমাতৃসুলভ আচরণ করে তারা। বহু প্রকল্পে আমাদের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি টাকা পায় বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি। তাদের কাছে ৪,০০০ – ৫,০০০ কোটি টাকা দেওয়া কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু আমাদের কেন্দ্রের কাছে প্রায় ৯১,০০০ কোটি টাকা পাওনা। সেই টাকার মধ্যে ৫০,০০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দিলেই আমিও অনেক কিছু করতে পারি।’
এদিন মমতা বলেন, ‘যে সব রাজ্যকে আজ প্রধানমন্ত্রী জ্বালানির দাম কমাতে বলেছের তাদের সঙ্গে আমি সর্বান্তকরণে রয়েছি। কেন্দ্র লুঠ করবে আর আমরা ছাড় দেব? বরং আপনারা জ্বালানির দাম কমান'।
বুধবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী বলেন, ‘গত নভেম্বরে জ্বালানি তেলের উপর শুল্ক কমিয়েছিল কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে কর কমানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিল। আমি কারও সমালোচনা করছি না। তবে আমি মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ুকে (জ্বালানি তেলের) ভ্যাট কমিয়ে মানুষকে সুবিধা দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’